মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়
শেখ মুজিবের নাম বাদ দেওয়ার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ও বিশেষণ (বঙ্গবন্ধু) বাদ দেওয়ার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা সেমিস্টার ফি কমানোর দাবিও জানিয়েছেন। আগামীকাল রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করবেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে’ সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আগস্ট পরবর্তী আন্দোলনে সেমিস্টার ফি পরিমার্জন ও অন্যসব দাবি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদাসীনতা দেখিয়ে আসছে। বারবার সংস্কার সম্পর্কিত অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলেও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রদত্ত উত্তরে দায়িত্ব অবহেলা প্রতীয়মান হচ্ছে। এ অবস্থায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
- আরও পড়ুন
বুয়েটে ভর্তিতে ১৩ দিনে ২৫ হাজার আবেদন, শেষ হচ্ছে আজ
বইয়ের শেষ পাতায় জাতীয় সংগীত-পতাকা, কারণ জানেন না কেউ!
এতে আরও বলা হয়, সব সাধারণ শিক্ষার্থীকে রোববার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেঘনা ভবনের সামনে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের ক্লাস, ল্যাব ও পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। যেহেতু সব বিভাগের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাই অ্যাকাডেমিক কোনো কার্যক্রমে অংশ না নিলেও সবাইকে অবশ্যই রোববার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেঘনা ভবনের সামনে উপস্থিত হতে হবে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সেমিস্টার ফি কমানো, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দফায় দফায় বৈঠক ও সিন্ডিকেট মিটিং থেকে আশানুরূপ সিদ্ধান্ত না আসায় এবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি ডেকেছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঊর্ধ্বতন আরও কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য মেলেনি।
এএএইচ/কেএসআর