স্কুলে ভর্তির লটারির ফল জানা যাবে যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে লটারি হবে। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লটারির ফলাফল জানতে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা ঘরে বসে অনলাইনে দ্রুত ফলাফল জানতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ‘ফলাফল সংক্রান্ত’ চিঠিতে লটারির ফল কীভাবে জানা যাবে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানপ্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা লিংকে প্রবেশ করে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন।

ডাউনলোড করা ফলাফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ই-মেইলে পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করতে হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

jagonews24

নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটিকে সভা আহ্বান করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণেও চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি থাকবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।

সরকারিতে আবেদন বেশি, আসন শূন্য থাকবে বেসরকারিতে
মাউশি সূত্র জানায়, গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ১৮ দিনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করে।

যার মধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন পড়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি। আর বেসরকারি স্কুলে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি। এবার সরকারি-বেসরকারি ৫ হাজার ৬২৫টি বিদ্যালয়ে মোট ফাঁকা আসন আছে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি।

মাউশির তথ্যানুযায়ী-৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ জন। সরকারিতে স্কুল আবেদনকারীরা পছন্দ (চয়েস) দিয়েছেন ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০টি।

অন্যদিকে ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি। বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে ভর্তির পরও বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থাকবে।

এএএইচ/এমআইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।