লিখিত নয়, এমসিকিউ পদ্ধতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথমবর্ষে ভর্তিতে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ্। উপাচার্যের বক্তব্যের পর লিখিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার মতো বিশ্ববিদ্যালয়টির পর্যাপ্ত সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, বক্তব্যের সময় লিখিত পরীক্ষার কথা বললেও মূলত বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটিতে আলোচনা করে শিগগির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আগামী শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। তবে আবেদন প্রক্রিয়া, ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম জানান, ভর্তি পরীক্ষার আলোচনা এখনো প্রাথমিক-পর্যায়ে। তবে হ্যাঁ, আমরা যে ভর্তি পরীক্ষা নেবো, সেটা চূড়ান্ত। সময়সূচি কিংবা কোন কোন বিষয়গুলো ভর্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হবে এসব বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পরীক্ষার ধরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। কারণ কয়েক লাখ শিক্ষার্থী প্রতি বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করানো সময়সাপেক্ষ।
উপ-উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোয়ালিটি নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন ওঠায় আমরা মান নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো- মানসম্মত প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তি করানো।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়টির অধীনে স্নাতক (সম্মান) কোর্স রয়েছে সারাদেশের ৮৮১টি কলেজে। এর মধ্যে সরকারি কলেজ ২৬৪টি এবং বেসরকারি ৬১৭টি। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথমবর্ষে ভর্তিযোগ্য মোট আসন ছিল চার লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
অন্যদিকে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রিতে (পাস কোর্স) প্রথমবর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। দেশের এক হাজার ৯৬৯টি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে পড়ানো হয়। প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ আটটি আসন কোটার জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা তিনটি, আদিবাসী একটি, প্রতিবন্ধী একটি, পোষ্য কোটা তিনটি।
এএএইচ/এমএএইচ/