ইউজিসির হিট প্রকল্প
আবাসিক হলে সিট না পাওয়া অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা পাবেন বৃত্তি
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী অনুযায়ী আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্রাবাস বা বাসা ভাড়া করে শিক্ষাজীবন কাটাতে হয়। এতে বেশি বিপাকে পড়েন অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীরা। তাদের জন্য মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
আবাসন সংকটে ছাত্রাবাস বা ভাড়া বাসায় থাকা অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাবও দিয়েছে ইউজিসি। প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন বিশ্বব্যাংকের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে বিষয়টি তুলে ধরে প্রকল্প সংশোধনের কথা জানান চেয়ারম্যান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান হিট প্রকল্প বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া এবং প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে ইউজিসি সদস্য তানজীমউদ্দিন খান বলেন, হিট প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের জীবনঘনিষ্ঠ বেশ কিছু কার্যক্রম রয়েছে, যেগুলোর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলে তাদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণ হয় এমন প্রকল্প গ্রহণ করতে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেন তিনি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, হিটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনোমিস্ট অ্যান্ড প্রোগ্রাম লিডার সৈয়দ আমির আহমেদ ও সিনিয়র এডুকেশন স্পেশালিস্ট টি এম আসাদুজ্জামন প্রমুখ।
দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং রূপান্তরে হিট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইউজিসি। প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদার হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পাঁচ বছর মেয়াদি হিট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। প্রকল্প ব্যয়ের ৫০ দশমিক ৯৬ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। বাকি ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ বহন করবে বিশ্বব্যাংক।
এএএইচ/এমকেআর/এএসএম