আইডিয়াল স্কুল
উৎসাহ ভাতার নামে ২ কোটি টাকা লুটের বন্দোবস্ত, অভিভাবকদের প্রতিবাদ
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করায় ‘উৎসাহ ভাতা’ নিতে চান রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিল, ধানমন্ডি ও বনশ্রী শাখায় কর্মরত প্রায় ৯০০ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য এ ভাতা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। ‘উৎসাহ ভাতা’ নামে প্রায় দুই কোটি টাকা ভাগাভাগি করে দেওয়া হবে তাদের। কয়েকজন শিক্ষক যোগসাজশে গভর্নিং বডিতে কৌশলে এ নিয়ম অনুমোদনও করিয়ে নিয়েছেন।
তবে এটিকে ‘লুটপাট’ হিসেবে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। তারা এর প্রতিবাদে আইডিয়াল স্কুলের মতিঝিল শাখায় রোববার (২৭ অক্টোবর) প্রতিবাদ সভা করেন।
‘অভিভাবক ফোরাম’ আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আ স ম আলমগীর। এতে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক নেতা শহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, খন্দকার আবু জাফর, গোলাম মোস্তফা, শামসুদ্দোহা মাসুদ প্রমুখ।
বক্তারা স্কুলের বিভিন্ন খাতে লুটপাটের ফিরিস্তি তুলে ধরে স্কুলের সভাপতি ঢাকার জেলা প্রশাসককে এ উৎসাহ ভাতা বন্ধ করার দাবি জানান।
তারা বলেন, শনিবারের (২৬ অক্টোবর) গভর্নিং বডির সভায় শিক্ষক প্রতিনিধিরা সভাপতিকে ভুল তথ্য দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য তথাকথিত উৎসাহ ভাতার নামে দুই কোটি টাকা লুটপাটের বন্দোবস্ত করেছেন। দেশের কোনো স্কুল-কলেজে এ নিয়ম চালু নেই।
- আরও পড়ুন
- মতিঝিল আইডিয়ালের স্কুল ড্রেসে বাধ্যতমূলক হলো টুপি-স্কার্ফ
- আইডিয়াল স্কুলে শতভাগ ভাই-বোন কোটা চেয়ে অভিভাবকদের স্মারকলিপি
অভিভাবকরা এমন উৎসাহ ভাতা বন্ধ করে বরং শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার ফি কমানো, শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে ক্লাসে মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিত করার দাবি জানান।
একই সঙ্গে তারা অনিয়ম, দুর্নীতি, ভুয়া সনদে কর্মরত, ছাত্রীদের হয়রানি ও নির্যাতনে অভিযুক্ত শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতির দাবি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালে এসএসসিতে প্রথম স্থান অর্জন করায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘উৎসাহ ভাতা’ চালু করেছিল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকদের চাপে গত ৫ বছর সেটি বন্ধ ছিল। এবার পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নতুন সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে এ ভাতা অনুমোদন করে নিয়েছেন স্কুলের কিছু শিক্ষক-কর্মচারী।
বিষয়টি জানতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং গভর্নিং বডির সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে মোবাইলে কল করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
এএএইচ/কেএসআর/জিকেএস