এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানালো শিক্ষা বোর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৬ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি

এইচএসসি ও সমমানের কিছু পরীক্ষা বাতিল করার পর ফল প্রকাশ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। অবশেষে সেই জটিলতা কেটে গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরীক্ষা বাতিল হওয়া বিষয়গুলোতে এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ফল তৈরি করার কাজ করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। শিগগির ফল প্রকাশ করা হবে।

কবে নাগাদ এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ হবে, তা নিয়ে এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। তাতে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ ১৫-১৯ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনো দিন ফল প্রকাশে তারিখ চাওয়া হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির একজন সদস্য ও একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন: 

তিনি বলেন, ‌‌‍জেএসসি ও এসএসসি- দুটি পরীক্ষা ধরে সাবজেক্ট ম্যাপিং করলে আরও বেশি সময় লাগতেও পারতো। যেহেতু শুধু এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং হবে, সেজন্য কাজটি তুলনামূলক সহজ হয়ে গেছে। সেজন্য অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফল প্রকাশ করা সম্ভব।

কমিটির ওই সদস্য বলেন, ‌মাসের মাঝামাঝি সময় বলতে ১৫-১৯ তারিখের মধ্যে আমরা তারিখ চেয়েছি। তবে দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে ৯-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত কলেজ ছুটি। কলেজ ছুটির সময়ে যদি ফল প্রকাশে মন্ত্রণালয়ের আপত্তি না থাকে, তবে এ সময়ের মধ্যেও হতে পারে। আর তা না হলে ১৮ ও ১৯ অক্টোবরের যে কোনো একদিন ফল প্রকাশ করার সম্ভাবনা বেশি।’

ফল প্রকাশের সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, অক্টোবরের মাঝামাঝিই আমরা ফল প্রকাশ করবো। কিন্তু একেবারে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ কবে যদি জিজ্ঞাসা করেন; সেটা বলা এখন সম্ভব নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত নির্দেশনা পেলে নির্দিষ্ট দিন জানানো যাবে।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী—৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

সূচি অনুযায়ী—মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তা বাতিল করা হয়। এতে কারও পাঁচ বিষয়, আবার কারও ছয় বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। সেগুলোতে এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে। আর যে বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলো খাতা মূল্যায়ন করে নম্বর ও গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ হবে।

এএএইচ/জেডএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।