ডিগ্রিতে অটোপাসের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও-বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৩ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাসের দাবিতে উপাচার্য এস এম আমান উল্লাহর কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রথমে তারা গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। পরে উপাচার্যের অফিস ঘেরাও করেন। ‘ডিগ্রি বৈষম্য নিরসন আন্দোলন’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ডিগ্রি কোর্স সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও ফাইনাল পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপ এখনো শেষ হয়নি। কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলনের কারণে তাদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এ কারণে ডিগ্রি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফলের ভিত্তিতে তৃতীয়বর্ষের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে হবে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই অনিয়মিত, প্রাইভেট ও সার্টিফিকেট কোর্সের এবং নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। জীবিকার তাগিদে পড়ালেখার পাশাপাশি তারা চাকরি বা নানা ধরনের মজুরিভিত্তিক কাজ করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক সময় চাকরি ছেড়ে দিতে হয়।

তারা আরও জানান, ডিগ্রি পরীক্ষার্থীদের অনেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। আহত শিক্ষার্থীদের পক্ষে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া বন্যায় অনেকের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই অবিলম্বে ডিগ্রি প্রথম ও দ্বিতীয়বর্ষের সঙ্গে তৃতীয়বর্ষের সব সেশনের চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থীদের দ্রুত অটোপাস দিয়ে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, ডিগ্রিতে আড়াই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য শিক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিক্ষাসচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অটোপাসের বিষয়টি নাকচ করেছেন। কারণ এটা করলে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হবে। আরও অনেকে এমন দাবি তুলতে থাকবে। সেজন্য পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ করা হবে।

এএএইচ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।