৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের ফল বাতিলের দাবি প্রার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৫ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিধিবহির্ভূত নিয়োগসহ বৈষম্যের অভিযোগ করে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়েছে নন-ক্যাডার পদপ্রার্থী চাকরিপ্রত্যাশীরা। একই সঙ্গে পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি এমন প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এ সময় তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৪৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর পিএসসি ক্যাডারভুক্ত পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতো। পরে পিএসসি নন-ক্যাডার পদেও নিয়োগের সুপারিশ শুরু করে। ফলে ২০১০ সালে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা প্রণীত হয়। এতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ও সরকারি সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। ২৮তম বিসিএস থেকে ৪২তম বিসিএস পর্যন্ত ক্যাডার পদ স্বল্পতার কারণে নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে দক্ষ প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যা সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়তা করছে।

বৈষম্যের অভিযোগ করে তারা বলেন, পিএসসি ৪৩তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফলাফল একসঙ্গে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। যা ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তির প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে। এ অবস্থায় আমরা পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করি এবং স্মারকলিপি দেই। কোনো সাড়া না পেয়ে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর পিএসসি চত্বরে মানববন্ধন করি। এরপর একাধিক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

‘২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর একই সঙ্গে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। যেখানে পূর্ণাঙ্গ তালিকাও প্রকাশ করা হয়নি, যা বিধিমালার পরিপন্থি। দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষার পর পিএসসি চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ক্যাডারের পাশাপাশি নন-ক্যাডারেরও ফলাফল প্রকাশ করা হয়, যা বৈষম্যপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার পদের জন্য প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ৩৪২টি পদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হলেও চূড়ান্ত ফলাফলে মাত্র ৬৪২ জনকে সুপারিশ করা হয়। পিএসসি নন-ক্যাডার প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ না করে ৬৪২ জনকে সুপারিশ করেছে, যা বিধিবহির্ভূত।’ যোগ করেন তারা।

চাকরিপ্রত্যাশীদের তিন দফা দাবি

১. ভাইভার চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কিন্তু পদস্বল্পতার কারণে ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি- এমন প্রার্থীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ এবং বিধিবহির্ভূত ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার ফলাফল বাতিল করা।

২. ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধি বাতিল করে ২০১০ এবং ২০১৪-এর সংশোধিত বিধি অনুযায়ী সুপারিশ করা।

৩. নতুনভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অধিযাচন পাঠিয়ে অধিক সংখ্যক পদ এনে ৪৩তম বিসিএসে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের ব্যবস্থা করা।

এএএইচ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।