নতুন শিক্ষাক্রম
ষাণ্মাসিক মূল্যায়নে প্রশ্নফাঁস নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
কয়েকদিনের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একের পর এক প্রশ্নফাঁসের ঘটনা এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। সম্প্রতি এ প্রশ্নফাঁসের শুরু হয় নতুন শিক্ষাক্রমে সারাদেশে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থীর ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত মূল্যায়নের আগের রাতে ফেসবুক-ইউটিউবে প্রশ্নপত্র ও উত্তর ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি শুরু থেকেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
তাদের দাবি- ষাণ্মাসিক মূল্যায়নে যে ধরনের প্রশ্নপত্রে মূল্যায়ন নেওয়া হচ্ছে, তা ফাঁস হলেও শিক্ষার্থী বিশেষ সুবিধা পাবে না। তারপরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন মন্ত্রীসহ শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সবশেষ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) জাতীয় শিক্ষাক্রম পোর্টাল, বিষয়ভিত্তিক অনলাইন প্রশিক্ষণ ও নৈপুণ্য মূল্যায়ন অ্যাপ-বিষয়ক অনলাইন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও শিক্ষামন্ত্রী ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্নফাঁস নিয়ে কথা বলেছেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন:
- ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্ন ফেসবুক-ইউটিউবে, মিলছে সমাধানও
- ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্নফাঁস হলে আইনি ব্যবস্থা: এনসিটিবি
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রশ্নফাঁসের উত্তর আগে থেকে দেওয়া থাকলেও শুধু উত্তর লেখার ওপরে মূল্যায়ন হবে না। অনেক অংশে উত্তরে আসার প্রক্রিয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা জোর দিচ্ছি উত্তর কে, কীভাবে দিচ্ছেন। কী প্রক্রিয়ায় তিনি ফ্যাকটরাইজেশনটা করছেন। এর সঙ্গে ইকুয়েশন আছে, সলিউশন আছে।
তিনি বলেন, মাঝখানে ফ্যাকটরাইজ করার যে প্রক্রিয়াটা, সেটা শিক্ষার্থী যদি যথাযথভাবে করতে না পারেন, শুধু সল্যুশন লিখে দিলেই কিন্তু মার্কস হবে না। সেটা কিন্তু এখন আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিচার্স গাইড যেগুলো আছে, সেগুলোর অডিয়ো ভিজ্যুয়াল থাকবে। কিছুটা চ্যালেঞ্জ আছে, সময়ের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি, আমরা খুব শিগগির অডিও ভিজুয়্যাল নমুনা প্রতিটা ক্লাসে দিতে পারবো। তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। বাবা-মায়েরাও উপকৃত হবেন। আমাদের শিক্ষকরা বেশি উপকৃত হবেন। আমাদের আশা, এ বছর শেষে প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম একটি করে ডিজিটাল ডিভাইস পৌঁছে দিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাক্রমের রূপান্তর ঘটানো হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে যুগোপযোগী স্মার্ট প্ল্যাটফর্ম ও হাইব্রিড প্রশিক্ষণ প্রণয়ন করা হচ্ছে, যা স্মার্ট শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে হবে অত্যন্ত সহায়ক মাইলফলক। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠবেন বিশ্লেষণধর্মী, সংবেদনশীল, আত্মপ্রত্যয়ী ও স্মার্ট নাগরিক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। সঞ্চালনা করেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান।
এএএইচ/এসএইচএস/এমএস