চাকরির কোচিং বাণিজ্যে কর্মকর্তারা, নড়েচড়ে বসছে পিএসসি
সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গ করে কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। অনেকে বিপুল সম্পদের মালিকও বনে গেছেন। বিষয়টি এতদিন পিএসসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানলেও অজ্ঞাত কারণে চুপ ছিলেন। প্রশ্নফাঁসের ঘটনা সমানে আসার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অবশেষে তোড়জোড় শুরু করেছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
পিএসসি সূত্র বলছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুজন প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। চাকরিরত আরও অনেকে রয়েছেন। শুধু কোচিংয়ে ক্লাস নেওয়া নয়, নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন কোচিং সেন্টারও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার উপ-পরিচালক আবু জাফর ও সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির চাকরির প্রস্তুতির কোচিং ব্যবসায় লিপ্ত। রাজধানীর মালিবাগে ‘জ্যোতি চাকরির কোচিং সেন্টার’র পরিচালক আবু জাফর। কোচিং সেন্টারটি তার স্ত্রী জ্যোতির নামে। আর সহকারী পরিচালক আলমগীর কবিরের মিরপুরে কোচিং সেন্টার রয়েছে।
আরও পড়ুন
- প্রশ্নফাঁস: পিএসসির তিন কর্মকর্তাসহ কারাগারে ১০ জন
- প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের নিয়ে চারদিকে হইচই
- প্রশ্নফাঁস: আবেদ আলীসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
পিএসসির প্রশাসন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোচিং বাণিজ্যসহ বেশকিছু কারণে কয়েক বছর পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন আবু জাফর। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছিল। তবে অজ্ঞাত কারণে এ নিয়ে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পিএসসি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির প্রশাসন শাখার দুজন কর্মকর্তা জানান, কোচিং করা চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধা দিতে গিয়ে প্রশ্নফাঁসের মতো অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকে। এতদিন পিএসসি চুপ থাকলেও এখন নড়েচড়ে বসেছে। তাদের ধরতে নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করছে পিএসসি। কোচিং বাণিজ্যে জড়িত পিএসসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোও হতে পারে।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী তো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোচিংয়ে ক্লাস নেওয়া কিংবা কোচিং প্রতিষ্ঠান খুলে তা পরিচালনার সুযোগ নেই। এমন কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএএইচ/ইএ/এমএস