বদলে যাওয়া ‘এসএসসি’র জন্য হচ্ছে দশম শ্রেণির নতুন বই
মাধ্যমিকের দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে আগামী বছর। এ জন্য দশম শ্রেণির জন্য একেবারে নতুন ধরনের পাঠ্যবই প্রণয়ন করা হচ্ছে। আগামী বছরের শেষে অথবা নতুন বছরের শুরুতে (২০২৬ সালে) সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রচলিত নিয়মে পরীক্ষা থাকবে না। মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে হবে ফল প্রকাশ। আবার দুই বিষয়ে কেউ ফেল করলেও একাদশে ভর্তির সুযোগ থাকবে।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আগের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নবম ও দশম শ্রেণিতে একই বই পড়ানো হতো। দুই বছরে পড়ানো বই থেকে করা হতো এসএসসির প্রশ্নপত্র। নতুন শিক্ষাক্রমে সেটা আলাদা আলাদা। এখন নবম শ্রেণিতে এক বই, দশমে অন্য বই। আর এসএসসি পরীক্ষা হবে শুধুমাত্র দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর। পরীক্ষায় লিখিত মূল্যায়নে ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে থাকবে ৩৫ শতাংশ। পুরো পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টাব্যাপী।
- আরও পড়ুন
- নবম শ্রেণির বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির কিউআর কোড!
- ‘শরীফার গল্প’ বাদ, পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হবে নতুন গল্প
এনসিটিবি সূত্র জানায়, দশম শ্রেণির পাঠ্যবই লেখার কাজ শেষ হয়েছে। এখন পর্যালোচনা করে সেগুলো ছাপার ব্যবস্থা করা হবে। অন্য শ্রেণির পাঠ্যবইয়েও প্রয়োজন অনুযায়ী হবে সংযোজন-বিয়োজন। মূলত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে তুলনামূলক বেশি সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। তবে বড় কোনো পরিবর্তন হবে না।
অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের সব বই পরীক্ষামূলক সংস্করণ ছাপা হয়েছে। এগুলোতে যখনই ভুল-ত্রুটি ধরা পড়ছে, আমরা তা সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি। সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের শরীফার গল্প বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আবার নবম শ্রেণির বইয়ে একটি কিউআর কোড ভুলভাবে উপস্থাপন হয়েছে, সেগুলো সব সংশোধন করা হবে।
‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নতুন এ শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রমে চলছে পাঠদান। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ প্রক্রিয়া চালু হবে।
এএএইচ/কেএসআর/জিকেএস