খুলছে না বিসিএসের জট, ব্যর্থ রোডম্যাপ
কিছুতেই কাটছে না বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘ জট। তিন বছর আগে একসঙ্গে চলছিল চারটি বিসিএস। তখন এ জট খোলার আশ্বাস দিয়ে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানায় ‘আগামীতে একটি বিসিএস শেষ হবে এক বছরেই।’ নেওয়া হয় নতুন উদ্যোগ, প্রণয়ন করা হয় রোডম্যাপ। ঘোষিত সে রোডম্যাপও পড়ছে মুখ থুবড়ে।
বর্তমানে একসঙ্গে চলছে তিন বিসিএস- ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম। বছরের শেষ দিকে হবে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি। অর্থাৎ, পিএসসিকে একসঙ্গে অন্তত তিন বিসিএসের কার্যক্রম চালাতেই হচ্ছে। ঘোষণা দিয়েও জট কাটাতে না পারায় প্রশ্ন উঠেছে—তাহলে পিএসসির রোডম্যাপ কি ব্যর্থ?
পিএসসির সাবেক দুজন সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক একজন সচিবের অভিমত—দুটো বিসিএস একসঙ্গে চললে সেটা স্বাভাবিক। তিনটি বা চারটি বিসিএস থাকলে সেটিকে জট বলতেই হবে। সেই হিসেবে তিন বছর পরও একই রকম জট রয়েই গেছে। আপাতদৃষ্টিতে বলা চলে পিএসসির রোডম্যাপ ব্যর্থ।
তবে রোডম্যাপ বাস্তবায়নে কাজ চলছে এবং জট কিছুটা কেটেছে বলে দাবি পিএসসির বর্তমান চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনের। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগের চেয়ে জট কিছুটা কেটেছে। সব প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল হয়েছে। হয়তো যে কাজগুলো করা হচ্ছে, সেটা প্রকাশ্যে এখনো সেভাবে চোখে পড়ছে না।’
কেমন ছিল বিসিএসে জট খোলার রোডম্যাপ?
আগে থেকেই বিসিএসে জট ছিল। করোনাকালে তা আরও দীর্ঘ হয়। সার্বিক দিক বিবেচনায় জট কাটিয়ে উঠতে ২০২১ সালে একটি রোডম্যাপ করেছিল পিএসসি। সেখানে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ পর্যন্ত কোন ধাপে কত সময় ব্যয় করবে, তা ঠিক করেছিল সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
কিছুটা সময় বেশি লেগে যাচ্ছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী চেষ্টা করেও কাজটা করা যায়নি। এ দায় শুধু যে পিএসসির, তা নয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের নির্বাচনব্যবস্থার কারণে অনেক সময় আমাদের পরীক্ষা পেছাতে হয়।- পিএসসির সদস্য সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক
পিএসসি সূত্র জানায়, রোডম্যাপ অনুযায়ী—বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং প্রিলির ফল প্রকাশের কাজ শেষ হবে ৯৫ দিনে। প্রিলির এ কার্যক্রম চলার সময়ই লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশনের কাজ চলবে।
বিসিএসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয় যে ধাপে সেটি লিখিত পরীক্ষা ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন। রোডম্যাপ অনুযায়ী—পিএসসি এ ধাপটি শেষ করতে চেয়েছিল ১২৭ দিনে। যার মধ্যে ৭ দিন বরাদ্দ ছিল আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা নিতে, ১২ দিন ছিল পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৭৫ দিন। বাকি ৩৩ দিনে লিখিত ফল প্রণয়ন, প্রকাশসহ বাকি কাজগুলো শেষ করা হবে।
মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করার জন্য সময় ধরা হয়েছিল ১১০ দিন। এর মধ্যে ১০০ দিন নেওয়া হবে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা। বাকি দিনগুলোতে আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে। সবমিলিয়ে ৩৩২ দিনের মধ্যে একটি বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে চেয়েছিল পিএসসি।
তিন বছরেও শেষ হয়নি ৪৪তম বিসিএস
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর। পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ২৭ মে অনুষ্ঠিত হয় এ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। প্রিলির ফল প্রকাশ করা হয় ২২ জুন। অর্থাৎ, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে প্রিলির ফল প্রকাশে সময় লেগে গেছে প্রায় ২০০ দিন। অথচ রোডম্যাপে এ কাজ শেষ করতে লক্ষ্য নির্ধারণ ছিল ৯৫ দিন।
আরও পড়ুন
- ‘কৌশলে পড়াশোনা করলে বিসিএস জয় করা সম্ভব
- ফেল করেও বিসিএস ক্যাডার!
- ঢাকা জেলায় বিসিএস ক্যাডার বেশি, দ্বিতীয় চট্টগ্রাম
একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর শুরু হয় লিখিত পরীক্ষা, যা শেষ হয় ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি। এরও এক বছর তিনমাস পর চলতি বছরের ৩ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। লিখিত পরীক্ষা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশে সময় লেগে গেছে প্রায় ৫০০ দিন। অথচ রোডম্যাপে এ কাজের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ১২৭ দিন।
এদিকে, চলতি বছরের ৮ মে থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, যা চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। রোডম্যাপ অনুযায়ী—মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে ফল তৈরি ও চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য ১১০ দিন বরাদ্দ পিএসসির।
তবে খোদ পিএসসির কর্মকর্তারা বলছেন, মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরির কাজ শুরু করা হবে। যেভাবে কার্যক্রম চলছে, তাতে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ভেরিফিকেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ করে চাকরির প্রজ্ঞাপন জারি হতে কমপক্ষে আরও এক বছর লাগবে। অর্থাৎ, ৪৪তম বিসিএসে চাকরি পেতে একজন প্রার্থীর চার বছরেরও বেশি সময় লেগে যাবে।
হ্যাঁ, এখন তিনটি বিসিএস চলছে, এটা সত্য। দুর্বলতা যদি বলেন, ৪৪তম হয়তো সেভাবে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া যায়নি। ৪৫তম বিসিএসে আমরা চেষ্টা করছিলাম। রাজনৈতিক কারণে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছাতে হয়েছিল।- পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন
পিএসসি ৪৪তম বিসিএস সামনে রেখে বিজ্ঞপ্তি, প্রিলিমিনারি ও ফল প্রকাশে যে সময় (৩৩২ দিন) বরাদ্দ রেখে রোডম্যাপ করেছিল, তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। উল্টো প্রায় তিনগুণের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের।
পিএসসির সদস্য সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘কিছুটা সময় বেশি লেগে যাচ্ছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী চেষ্টা করেও কাজটা করা যায়নি। এ দায় শুধু যে পিএসসির, তা নয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের নির্বাচনব্যবস্থার কারণে অনেক সময় আমাদের পরীক্ষা পেছাতে হয়। পাশাপাশি আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখিও হতে হয় আমাদের। এক বছরের মধ্যে বিসিএস শেষ করতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, উন্নতি হবে।’
একসঙ্গে চলছে তিন বিসিএসের কার্যক্রম
বর্তমানে একসঙ্গে চলছে তিনটি বিসিএসের কার্যক্রম। ৪৪তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষে মৌখিক পরীক্ষা চলছে। ৪৫তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বর্তমানে এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ করছে পিএসসি। এছাড়া ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
পিএসসির পরীক্ষা শাখার (ক্যাডার) দুজন কর্মকর্তা নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে জানান, চলতি বছর শুধু ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৪৫তম এবং ৪৬তম বিসিএসের ফল আগামী বছরের মধ্যে নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ৪৫তম বিসিএসেও তিন বছরের বেশি সময় লাগতে পারে। তবে সময় কিছুটা কম লাগতে পারে ৪৬তম বিসিএসে।
পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, ‘হ্যাঁ, এখন তিনটি বিসিএস চলছে, এটা সত্য। দুর্বলতা যদি বলেন, ৪৪তম হয়তো সেভাবে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া যায়নি। ৪৫তম বিসিএসে আমরা চেষ্টা করছিলাম। রাজনৈতিক কারণে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছাতে হয়েছিল। তা না হলে আরও আগে পরীক্ষা হয়ে যেত। আর ৪৬তম বিসিএসে আমরা প্রিলির ফল প্রকাশ করেছি খুব কম সময়ে, সম্ভবত এটা রেকর্ড কম সময়। এটা (৪৬তম বিসিএস) দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’
সবশেষ ৫ বিসিএসে যত সময় লেগেছে?
পিএসসি সবশেষ যে পাঁচটি বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে তিনটি সাধারণ এবং দুটি বিশেষ। বিশেষ দুটি বিসিএস এক বছরের মধ্যে শেষ হলেও ভিন্নচিত্র সাধারণ তিন বিসিএসের ক্ষেত্রে।
সাধারণ তিনটি বিসিএসের মধ্যে ৪০তম তে চূড়ান্ত ফল প্রকাশে পিএসসির সময় লেগেছে ৩ বছর ৬ মাস ২০ দিন। ৪১তম বিসিএসে ৩ বছর ৮ মাস ৭ দিন এবং ৪৩তম বিসিএসে সময় লেগেছে ৩ বছর ২৭ দিন।
অন্যদিকে ৩৯তম ও ৪২তম বিসিএস ছিল বিশেষ। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশে সময় লাগে ১ বছর ২২ দিন। আর ৪২তম বিসিএসে সময় লেগেছিল মাত্র ১০ মাস ৬ দিন।
বার্ষিক প্রতিবেদনে সাধারণ বিসিএসগুলো শেষ করতে বেশি সময় লাগার পেছনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করোনার প্রভাবকে দায়ী করছে পিএসসি। সঙ্গে আরও একটি বিষয় সামনে আনেন পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, তা হলো উত্তরপত্র মূল্যায়নে দেরি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় দুজন পরীক্ষকের দেওয়া নম্বরের মধ্যে বেশি তফাৎ দেখা দেয়। তখন নিয়ম মেনে আমাদের তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠাতে হয়। এটা অনেক লম্বা সময়ের ব্যাপার। এ কাজে অধিকাংশ সময় লিখিত পরীক্ষার ফল তৈরি ও প্রস্তুতের কাজ পিছিয়ে যায়।’
ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা, দাবি জট কাটানোর
পিএসসি মূলত সরকারের চাহিদা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থী বাছাই করে। নিয়োগ দেয় সরকার। দেশের লাখ লাখ গ্র্যাজুয়েটের বড় লক্ষ্য থাকে বিসিএসের মাধ্যমে ভালো চাকরি পাওয়া। গত এক দশকে বিসিএসের চাকরির আকর্ষণ বেড়েছে বহুগুণ। বিপরীতে একেকটি বিসিএস শেষ করতে দীর্ঘ সময় লাগায় প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভও রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ২০১৬ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন রেজোয়ানুর রহমান। দুটি বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন। একটিতে মৌখিক পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছেন। তবে ভাগ্যের শিকে ছেড়েনি। তার শেষ প্রচেষ্টা ৪৫তম বিসিএস।
রেজোয়ানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘৪৫তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছি। তার মধ্যেই ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। বিসিএসে জট থাকায় ঠিকমতো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেওয়াটাও কষ্টকর। পিএসসির উচিত দ্রুত প্রক্রিয়া শেষ করা।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করা আবির মাহমুদের দাবিও একই। তিনি ৪৬তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন লিখিত পরীক্ষার। আবির জাগো নিউজকে বলেন, ‘পিএসসি বলে যে তারা এক বছরে বিসিএস শেষ করবে। তবে কাজের বেলায় ভিন্ন। আমরা প্রত্যাশা করবো—দ্রুত যেন ৪৬তম বিসিএসের লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা হয়।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার রোডম্যাপটিকে সেসময় স্বাগত জানিয়েছিলেন। এটিকে ‘যুগান্তকারী’ উদ্যোগ বলে গণমাধ্যমে বক্তব্যও দেন তিনি। তিন বছর পরে বিষয়টি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভালো উদ্যোগকে স্বাগত জানানো নৈতিক কাজ। কিন্তু সেটা পিএসসি বাস্তবায়ন করতে পারেনি, এটা দুঃখজনক। তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু এখনো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, পিএসসি এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে, এটা সম্ভব। জনবল প্রয়োজন হলে সেটা সরকারকে জানাতে হবে। সব সংকট কাটিয়ে বছরে একটি বিসিএস শেষ করার রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে পারলে তা রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলজনক হবে।’
এএএইচ/এএসএ/এমএস