প্রাথমিকের বই উৎসব মিরপুরে, মাধ্যমিকের কুমিল্লায়
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বই উৎসবের পৃথক ভেন্যু ঠিক করা হয়েছে। প্রাথমিকের বই উৎসব হবে রাজধানীর মিরপুরে। আর মাধ্যমিকের বই উৎসব হবে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আগামী ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় এ উৎসব শুরু হবে। দুটি স্থান থেকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলেও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৃথকভাবে বই উৎসব হবে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফরহাদুল ইসলাম জানান, প্রতিবারের মতো এবারও বছরের প্রথম দিন বই উৎসব হবে। এবার মাধ্যমিকের বই উৎসব কুমিল্লার লালমাই উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বই ছাপানোর অগ্রগতি বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, প্রাথমিকের সব বই গত ৪ ডিসেম্বর উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির প্রায় সব বইও উপজেলায় পৌঁছে গেছে। অষ্টম ও নবম শ্রেণির সামাজিক বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান অনুশীলন বই আজই প্রেসে যাবে।
এদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ জানান, প্রাথমিকের বই উৎসব এবার মিরপুরের ন্যাশনাল (সকাল) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পাশেই স্কুলটি অবস্থিত।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী সংখ্যা ধরা হয়েছে তিন কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। তাদের জন্য বই ছাপা হচ্ছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি। প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো হয়েছে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৪২৩ কপি বই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ ১ হাজার ২৭৪টি। প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮ কপি বই ছাপা হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৮ কপি, সপ্তম শ্রেণির চার কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার কপি, অষ্টম শ্রেণির জন্য পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ কপি এবং নবম শ্রেণির জন্য পাঁচ কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি বই ছাপা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) শিশুদের জন্য এবার মোট দুই লাখ পাঁচ হাজার ৩১ কপি বই ছাপা হচ্ছে। অন্য বইয়ের মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৫২ কপি ‘ব্রেইল’ বই ছাপা হবে। তাছাড়া শিক্ষকদের ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি ‘শিক্ষক সহায়িকা’ দেওয়া হবে।
এএএইচ/এমএএইচ/এমএস