‘শিক্ষাক্রমের নামে প্রজন্ম ধ্বংসের নীলনকশা করেছে সরকার’
নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের নামে সরকার প্রজন্ম ধ্বংসের নীলনকশা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলন (শিশির) এবং সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের নামে প্রজন্মকে ধ্বংসের নীলনকশা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করাই অভিভাবক-শিক্ষকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবিলম্বে গ্রেফতার চারজনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘পরিকল্পিত শিক্ষাধ্বংসের কালপঞ্জী: ১৯৭২-২০২২’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলন (শিশির) এবং সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
রাখাল রাহা বলেন, গ্রেফতার চারজন কিন্তু কোনো চুরি ডাকাতি বা কারও সম্পত্তি লুট করেননি। তারা কোনো ব্যাংক ডাকাতি করেননি। তাহলে কেন তাদের গ্রেফতার করা হলো? নতুন কারিকুলামের নামে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের যে নীল নকশা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ করাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যে কয়টি শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ও বাস্তবতাবিবর্জিত শিক্ষাক্রম হলো নতুন শিক্ষাক্রম। এ শিক্ষাক্রমের ফলে দেশে নিম্নমানের প্রচুর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল সৃষ্টি হবে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যাবে।
সেমিনারে অর্ধশতাব্দীর বাংলাদেশের শিক্ষার বিভিন্ন স্তরের কিছু আয়োজনের ভেতরের চিত্র দেখিয়ে বলা হয়, যা সাদা চোখে দেখা যায়, তা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে যিনি দেখতে বলেন, তার ভিন্ন ধান্দা আছে এবং এ বাংলাদেশে তাদের অভাব নেই।
সেমিনারে আলোচক ছিলেন অধ্যাপক সালেহ মতিন, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার মোল্লা, অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অধ্যাপক আবদুস সালাম প্রমুখ।
জানা গেছে, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সমালোচনা ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতা করে পুলিশ। গত ২৩ নভেম্বর ঢাকা থেকে তিনজন এবং টাঙ্গাইল থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- আবুল হাসনাত কবির (৫১), গোলাম রাব্বী (৩৭), জাহাঙ্গীর কবির ও কাজী পনির।
গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিল থানায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সহকারী সচিব আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেফতারদের আদালতে হাজির করা হয়।
এএএইচ/এমআরএম/জেআইএম