এইচএসসি
ইংরেজিতে বেশি ফেল করায় যশোর বোর্ডে ফল বিপর্যয়
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারে সবচেয়ে পিছিয়ে যশোর। এ বোর্ডে পাস করেছে মাত্র ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী। অথচ গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের চেয়ে এবার যশোর বোর্ডে পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
ফলাফলে যশোর বোর্ডের তলানিতে অবস্থানের কারণও জানিয়েছেন বোর্ডটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবিব। তিনি জানান, এবার তার বোর্ডের ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্র কিছুটা কঠিন হয়েছিল। ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা ফেল বেশি করায় পাসের হার কমেছে। একই সঙ্গে ইংরেজিতে খারাপ করায় অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি।
রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় সাংবাদিকরা যশোর বোর্ডে ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চান। মন্ত্রী তখন বোর্ড চেয়ারম্যানকে কারণ জানাতে বলেন। সংবাদ সম্মেলনে থাকা যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহসান হাবিব তখন ইংরেজির প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়াকে ফল বিপর্যয়ের কারণ বলে জানান।
এদিকে, ২০২২ সালের এইচএসসির ফলাফলের চেয়ে এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হারও কিছুটা কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার এইচএসসি ও সমমানে সব বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বাকি ৮টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডের ৭৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডের ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডের ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এএএইচ/এমকেআর/জেআইএম