নতুন বিধিমালা

এটিইও নিয়োগে ‘মধুর বিড়ম্বনায়’ প্রাথমিকের শিক্ষকরা

আল-আমিন হাসান আদিব
আল-আমিন হাসান আদিব আল-আমিন হাসান আদিব , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০২৩
জাগো নিউজ গ্রাফিক্স

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘পদোন্নতির’ প্রথম ধাপ সহকারী উপজেলা অফিসার বা থানা শিক্ষা অফিসার (এটিইও)। শিক্ষকদের কাছে এ পদ বেশ আকর্ষণীয়ও। নিয়ম অনুযায়ী আগে ৫০ শতাংশ এটিইও পদে নিয়োগ পেতেন সহকারী শিক্ষকরা। আবেদন করতে পারতেন সব শিক্ষক। ছিল না কোনো অভিজ্ঞতার শর্তও। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জারি করা হয় ‘প্রাথমিক নিয়োগ বিধিমালা’র প্রজ্ঞাপন।

নতুন বিধিমালায় ৮০ শতাংশ এটিইও পদ প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত (কোটা)। তবে এই কোটা বাড়িয়ে জুড়ে দেওয়া হয়েছে শর্ত, আবেদনের জন্য লাগবে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা। যদিও কোটা বাড়ায় শিক্ষকরা বেশ খুশি। তবে আবেদনের যোগ্যতায় অভিজ্ঞতা যুক্ত করায় এটিইও নিয়োগ নিয়ে ‘মধুর বিড়ম্বনায়’ পড়েছেন শিক্ষকরা।

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা বলছেন, স্নাতক পাস ছাড়া এখন সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনই করা যায় না। প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায়ও এখন তুমুল প্রতিযোগিতা। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দিলেও এটিইও পদে আবেদন করতে ১০ বছর চাকরি করতে হবে। অথচ সদ্য স্নাতক-স্নাতকোত্তর পাস করা প্রার্থীরা কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি আবেদন করে এটিইও নিয়োগ পাচ্ছেন। তাদের জন্যও নির্দিষ্ট ২০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। আবার শিক্ষকদের মধ্য থেকে কোটা পূরণ না হলে সেখানে সাধারণ প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে, যা প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চিত করা ছাড়া কিছুই নয়।

আরও পড়ুন: পদোন্নতির সুযোগ কমছে এটিইওদের, প্রাথমিকের মাঠ পর্যায়ে হতাশা 

শিক্ষকদের জন্য অভিজ্ঞতা আরও কম রাখা উচিত ছিল বলে মনে করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও। তারা বলছেন, সহকারী শিক্ষকদের জন্য ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত থাকলে সেটা ঠিক ছিল। ১০ বছরের অভিজ্ঞতা জুড়ে দেওয়ায় প্রক্রিয়া জটিল হয়ে গেছে। সহকারী শিক্ষকরা মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন বা দাবি জানালে বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।

শিক্ষকদের দাবি, দ্রুত এটিইও হতে পারলে অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থায় পদোন্নতির দরজা খুলে যায়। ১০ বছরের অভিজ্ঞতা ‘চাপিয়ে দিয়ে’ পদোন্নতির সেই পথ বন্ধ করছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর।

সারাদেশে প্রায় দুই হাজার ৬০০ সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার (এটিইও) পদ রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সোয়া চার লাখ শিক্ষককে প্রত্যক্ষভাবে তদারকি করেন তারা। ফলে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে এটিইও পদে নিয়োগ পাওয়ার ঝোঁক বেশি। শিক্ষকদের দাবি, দ্রুত এটিইও হতে পারলে অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থায় পদোন্নতির দরজা খুলে যায়। ১০ বছরের অভিজ্ঞতা ‘চাপিয়ে দিয়ে’ পদোন্নতির সেই পথ বন্ধ করছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর।

jagonews24প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর/ ফাইল ছবি

নতুন বিধিমালায় এটিইও নিয়োগে যত শর্ত
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদের সই করা প্রজ্ঞাপনে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জারি করা হয় নতুন বিধিমালা। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৫৯ ধারার ক্ষমতাবলে এ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এটি ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৩’ নামে অভিহিত হবে। বিধিমালার তফসিলের ৩৭ নম্বর ক্রমিকে এটিইও নিয়োগ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পিএসসি-মন্ত্রণালয় ‘ঠেলাঠেলিতে’ আটকা ইন্সট্রাক্টর-এটিইও নিয়োগ 

সেখানে উল্লেখ রয়েছে, এটিইও পদে সরাসরি নিয়োগ করা হবে। দুই ধরনের প্রার্থীরা এখানে আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকরা ‘বিভাগীয় প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। তাদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৪৫ বছর। শিক্ষকদের জন্য ৮০ শতাংশ এটিইও পদ থাকবে সংরক্ষিত।

সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে যারা ১০ বছর শিক্ষকতা করছেন, তারাই আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হবেন। ১০ বছরের কম অভিজ্ঞতার সহকারী শিক্ষকরা এ পদে আবেদন করতে পারবেন না। তবে, প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক হলে তার ন্যূনতম তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এটিইও পদের ২০ শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে ‘সাধারণ প্রার্থীদের’ জন্য। সাধারণ প্রার্থী বলতে প্রাথমিকের শিক্ষক নন- এমন প্রার্থীদের বোঝাবে। এই ক্যাটাগরির প্রার্থীদের সর্বেচ্চ বয়সসীমা হবে ৩০ বছর। তাদের কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে না। স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকলেই সাধারণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

অভিজ্ঞতার শর্ত না থাকলে তুলনামূলক তরুণ শিক্ষকদের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮-১০ বছর চাকরি করা শিক্ষকরা টিকতেই পারবেন না। এজন্য হয়তো অভিজ্ঞতা বেশি জুড়ে দেওয়ার নিয়ম করতে পারে কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাধারণ প্রশাসন বিভাগের শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘অভিজ্ঞ শিক্ষকদের এটিইও পদে আনার জন্য ১০ বছরের অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞতার শর্ত না থাকলে তুলনামূলক তরুণ শিক্ষকদের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮-১০ বছর চাকরি করা শিক্ষকরা টিকতেই পারবেন না। এজন্য হয়তো অভিজ্ঞতা বেশি জুড়ে দেওয়ার নিয়ম করতে পারে কর্তৃপক্ষ।’

বিধিমালার যে শর্তে শিক্ষকদের ‘আপত্তি’
নতুন বিধিমালায় শিক্ষকদের জন্য ৮০ শতাংশ পদ সংরক্ষিত বা কোটা রাখায় খুশি প্রাথমিক শিক্ষকরা। তবে দুই জায়গায় ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন তারা। প্রথমত, ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষকদের জন্য রাখা কোটা পূরণ না হলে সেখানে সাধারণ প্রার্থীদের নেওয়ার বিধান। শিক্ষকরা মনে করেন, পদোন্নতিতে ধীরগতি এনে শিক্ষকদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করতেই এ নিয়ম করেছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর। প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্বিতীয় আপত্তি হলো, সাধারণ প্রার্থীদের জন্য কোনো অভিজ্ঞতার শর্ত না রাখা। শুধু অনার্স-মাস্টার্স পাস করলেই সাধারণ প্রার্থীরা এটিইও হতে পারবেন- এমনটা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন: দফায় দফায় জটিলতা, ফের আদালতে যাবেন নতুন শিক্ষকরা 

এটিইও পদে নিয়োগপ্রত্যাশী রাফিউল ইসলাম রাফি। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করে আইন পেশায় ছিলেন কিছুদিন। এরপর প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

রাফিউল ইসলাম রাফি জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রাথমিকে এখন স্নাতক পাসের নিচের (স্নাতক পাস করেননি এমন) কোনো শিক্ষক নেই। অথচ সহকারী শিক্ষকদের এটিইও পদে আবেদন করতেই লাগবে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা। শিক্ষকদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে- এটা ভালো। কারণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরীক্ষা দিয়েই তারা সহকারী শিক্ষক হয়েছেন। এটিইও পদে নিয়োগ পেতেও পরীক্ষা দিতে হবে। তাহলে এত দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কেন চাওয়া হলো?’

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ৭১নং মৃধাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইউনুছ তালুকদার বলেন, ‘এটিইও পদে আমাদের যে পদোন্নতি- সেটা কিন্তু পরীক্ষা দিয়েই অর্জন করে নিতে হয়। যেখানে পরীক্ষা পদ্ধতি রয়েছে, সেখানে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা খামখেয়ালিপনা। অন্যসব বিভাগে (সরকারি দপ্তর) যেখানে দু-তিন বছরের মধ্যে পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে, সেখানে প্রাথমিকে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শর্ত জুড়ে দিয়ে আমাদের থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর অবশ্যই পরিবর্তন বা সংশোধন আনা উচিত।’

আরও পড়ুন: এক মাসের মধ্যে এটিইও প্রার্থীদের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ 

১০ বছরের অভিজ্ঞতা ‘হঠকারী’, রিট করবেন শিক্ষকরা
বিধিমালায় এটিইও নিয়োগে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা জুড়ে দেওয়াকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলছেন সহকারী শিক্ষকরা। অভিজ্ঞতা শিথিলের দাবিতে তারা সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন। ‘জিপিএস বিভাগীয় প্রার্থিতা পরিষদ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, অভিজ্ঞতার শর্ত বাতিল বা শিথিল না করা হলে শিগগির তারা হাইকোর্টে রিট করবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়স নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই বছর হলেই পদোন্নতির পরীক্ষায় বিভাগীয় প্রার্থী হওয়া যাবে। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উল্টো বিধিমালা করেছে।

জিপিএস বিভাগীয় প্রার্থিতা সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক এম এ সালাম। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের খয়েরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই সহকারী শিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকদের অধিদপ্তরের পরিচালক হওয়ারও সুযোগ আছে জানিয়ে স্বপ্ন দেখানো হয় ট্রেনিংসহ নানা সময়ে। অথচ একেবারে প্রথম ধাপ এটিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে অবিচার করা হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়স নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই বছর হলেই পদোন্নতির পরীক্ষায় বিভাগীয় প্রার্থী হওয়া যাবে। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উল্টো বিধিমালা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়। এটিইও পদে আবেদনের জন্য সহকারী শিক্ষকদের দুই বছর অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করতে হবে। যদি কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমরা হাইকোর্টে রিট করবো।’

jagonews24প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান/ ফাইল ছবি

দাবি যৌক্তিক হলে বিধিমালা ‘সংশোধন’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিধিমালা জারি করার পরপরই শুরু হয় বিতর্ক। কখনো শিক্ষকরা বিধিমালার গলদ বের করেন, কখনো আবার থেকে যায় অস্পষ্টতা। ফলে একের পর এক রিট এবং মামলা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন নিয়োগ, পদোন্নতি, বিধিমালার সংশোধনীসহ নানা দাবিতে বিভিন্ন সময়ে পাঁচ হাজারের বেশি রিট ও মামলা হয়েছে। গত ২৬ জুন ১৫৯ এটিইও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও অভিজ্ঞতার শর্তে দেখা দেয় জটিলতা। এ নিয়েও রিট করেছেন প্রার্থীরা। নতুন নিয়োগ বিধিমালা নিয়েও সেই পথে হাঁটছেন সহকারী শিক্ষকরা। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষকরা যদি আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি জানান এবং তা যাচাই-বাছাই করে যৌক্তিক মনে হয়, তাহলে বিধিমালা সংশোধনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: পদোন্নতি না নিতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষকের আবেদন 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাধারণ প্রশাসন বিভাগের শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি মনে করি শিক্ষকদের এখানে (বিধিমালায়) সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য ৮০ শতাংশ কোটা থাকছে। হ্যাঁ, অভিজ্ঞতার বিষয়টি হয়তো ৩, ৫ বা ৭ বছর হলে ভালো হতো। সেটা কেন ১০ বছর করা হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট কারণ নিশ্চয়ই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কাছে রয়েছে। তবুও কারও আপত্তি থাকলে সেটা জানালে হয়তো কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের পরিচালক মনীষ চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনেক যাচাই-বাছাই করেই বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এ বিষয়ে সেসময় সব পক্ষের মতামত নেওয়া হয়। এরপরও আপত্তি বা ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। সেগুলো চিহ্নিত করে নিয়ম অনুযায়ী যদি শিক্ষকরা মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন বা দরখাস্ত দেন, তখন সেটা যৌক্তিক কি না, তা দেখা হবে।’

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা এখনো এ নিয়ে শিক্ষকদের কোনো আপত্তি বা অভিযোগ পাইনি। রিট, মামলা বা আন্দোলনে নামার আগে শিক্ষকদের উচিত অধিদপ্তরে জানানো। সেটা না করে কেউ রিট করলে আইনিভাবে পদক্ষেপ নেবে অধিদপ্তর।’

এএএইচ/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।