কপাল খুলছে গুচ্ছের অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের, ফের ভর্তির সুযোগ
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তবুও দুই হাজারের বেশি আসন শূন্য। এসব আসনে আবারও শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি কমিটি। এতে কপাল খুলছে ভর্তির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীদের।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভায় আবারও শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর আবারও সভা ডাকা হয়েছে।
আরওপড়ুন> গুচ্ছ পদ্ধতির ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে যত আসন
সভায় অংশ নেওয়া দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জাগো নিউজকে জানান, হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ২২০০ আসন এখনো শূন্য। এতসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করতে চায় না ভর্তি কমিটি। আসন শূন্য রেখে ভর্তি কার্যক্রম গুটিয়ে নিলে অনেকে ভর্তিচ্ছুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থীও পাবে না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আবারও ভর্তির সুযোগ দিতে যাচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকাদের মেধাতালিকার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতে পারে।
আরও পড়ুন> ২০০০ আসন শূন্য রেখেই ‘শেষ’ ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভর্তি
গত ২১ আগস্ট গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ফি জমার শেষদিন ছিল। ২২ আগস্ট মূল কাগজপত্র জমা নেওয়া হয়। এরপর আর ভর্তির জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা বা কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
অথচ বিশ্ববিদ্যায়গুলোতে দুই হাজারের বেশি আসন এখনো শূন্য রয়েছে বলে জানান খোদ ভর্তি কমিটির সদস্যরা। একমাস পার হলেও শূন্য এসব আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে কি না, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি গুচ্ছ ভর্তির কমিটি।
চলতি বছরের ২০ জুন গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় অনুষদ) পাসের হার ৬৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন> আইনে পড়তে চান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সিজরাত
কর্তৃপক্ষ প্রথমে তিন ধাপে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২০-২৪ জুলাই প্রথম ধাপে ভর্তি শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ২৮-৩০ জুলাই এবং তৃতীয় ধাপে ৩-৫ আগস্ট চলে ভর্তি কার্যক্রম। তারপরও আসন শূন্য থাকায় চতুর্থ ধাপে ২০-২২ আগস্ট ভর্তি নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, প্রথমে ১০ আগস্ট থেকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে তা পিছিয়ে ১৬ আগস্ট নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে আসন শূন্য থাকার জটিলতায় এখনো নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এএএইচ/এসএনআর/এমএস