১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা সেপ্টেম্বরে, ডিসেম্বরে চূড়ান্ত ফল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৫ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৩

সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) শুরু করতে চায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের মাধ্যমে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবে সংস্থাটি। এ লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে শিগগির মৌখিক পরীক্ষার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু করবে এনটিআরসিএ। মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত শেষ করতে ছয় থেকে আটটি ভাইভা বোর্ড গঠন করা হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এনটিআরসিএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনটিআরসিএ সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) এস এম মাসুদূর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই ১৭তম নিবন্ধনের সব কার্যক্রম শেষ করতে চাই আমরা। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করতে পারবো।’

সেপ্টেম্বরে মৌখিক পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মৌখিক পরীক্ষা শুরুর আগে আমাদের ভাইভা বোর্ড গঠন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করতে হবে। এ কাজগুলো শেষে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে। সেপ্টেম্বর থেকেই মৌখিক পরীক্ষা যাতে শুরু করা যায়, সেই চেষ্টা করবো আমরা।’

এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান অবসরে যাবেন। চেয়ারম্যানের অবসরের আগেই ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে চায় সংস্থাটি। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে ছয় থেকে আটটি বোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রতিটি বোর্ডে একজন করে বিশেষজ্ঞ থাকবেন। এ বিশেষজ্ঞ ঠিক করার পর মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে ১৭তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৬ হাজার ২৪২ জন প্রার্থী।

লিখিত পরীক্ষায় স্কুল পর্যায়ের ১৯ হাজার ৯৫ জন, স্কুল পর্যায়-২ এর ২ হাজার ১০১ জন ও কলেজ পর্যায়ে ৫ হাজার ৪৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারা বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হওয়ার জন্য নিবন্ধিত হতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দুই বছর পর ২০২২ সালের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর এ নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় এক লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। গত ৫ ও ৬ মে শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন মোট ১ লাখ ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী।

এর মধ্যে ৫ মে অনুষ্ঠিত স্কুল এবং স্কুলপর্যায়-২ এর লিখিত পরীক্ষায় ৫৭ হাজার ২৭৪ প্রার্থী অংশ নেন। আর ৬ মে অনুষ্ঠিত কলেজপর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৭ হাজার ৫৬০ জন প্রার্থী।

এএএইচ/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।