এইচএসসি পেছানোর দাবিতে আজও বিক্ষোভ, ছত্রভঙ্গ করলো পুলিশ
এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি থেকে মিছিল বের করেন কিছু পরীক্ষার্থী।
এ সময় তাদের হাতে দেখা যায়- পরীক্ষা দুইমাস পেছানো, ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার দাবি এবং সোমবার পুলিশি হামলার প্রতিবাদ সংবলিত প্ল্যাকার্ড।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জাফর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ক্লাস শুরু হয়েছিল মার্চে। আর ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গত ২৯ মে। মাত্র ১৫ মাসে দুই বছরের কোর্স শেষ করে তড়িঘড়ি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। সেটাও আবার ফুল (পূর্ণ) নম্বরের ওপর প্রশ্নপত্র করা হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এজন্য আমরা বিক্ষোভ করছি। পরীক্ষা পেছাতেই হবে।’
আরও পড়ুন: এইচএসসির রুটিন অনেক আগেই দিয়েছি, পেছানোর সুযোগ নেই
এদিকে, আজও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ থানার সামনে আসার পরই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে ছয়জনকে ধরে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তাদের আটক দেখানো হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আশরাফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যারা মিছিল করছে, তারা শিক্ষার্থী কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। গতকাল কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ
তিনি বলেন, ‘আগামী ১৭ তারিখে যাদের পরীক্ষা, তারা এক সপ্তাহ আগে যেসব দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে, এগুলো তো অযৌক্তিক। তাদের কয়েকজনকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে। পরে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ডেঙ্গু পরিস্থিতি ও সময় স্বল্পতায় যথেষ্ট প্রস্তুতি না থাকার কথা জানিয়ে চার দাবি নিয়ে সোমবার (৭ আগস্ট) বিক্ষোভ মিছিল করেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নয়, এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি অন্তত দুইমাস পেছানো, ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া এবং আইসিটি বিষয় বাদ দেওয়া।
অন্যদিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেছেন, ‘এখন পরীক্ষা পেছানোর আর কোনো সুযোগই নেই। যারা আন্দোলন করছে, তাদের বাসায় ফিরে প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
এএএইচ/কেএসআর/এমএস