এসএসসির ফল নিম্নমুখী
প্রশ্নের মান ভালো হওয়ায় ফলাফলে ‘তারতম্য’
# পাসের হার-জিপিএ নিয়ে ‘শঙ্কা’র কারণ নেই
# ছাত্রীদের শ্রেষ্ঠত্ব ‘বড় অর্জন’, ছাত্রদেরও টেনে তুলতে হবে
# প্রশ্নের মান বাড়ানোয় নজর দেওয়ার তাগিদ
এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় পাসের হার বেশ কমেছে। একই সঙ্গে ব্যাপকভাবে কমেছে সবচেয়ে ভালো ফল বলে বিবেচিত জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যাও। এটিকে নিম্নমুখী ফল বলতে ‘নারাজ’ শিক্ষামন্ত্রী। তার দাবি— গত বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ায় পাস ও জিপিএ-৫ বেশি ছিল। এবার পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ায় তুলনামূলক পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে।
শিক্ষাবিদরাও শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সুরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, এবার গত বছরের তুলনায় ভালো প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছে। এজন্য ফলাফলের ধারাবাহিকতায় কিছুটা ‘তারতম্য’ মনে হতে পারে। কিন্তু পাসের হার ও জিপিএ-৫-এর সংখ্যার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করাটা বোকামি বলে মনে করেন তারা।
আরও পড়ুন>> এসএসসি-সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছর (২০২২ সাল) পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার প্রায় ৭ শতাংশ কম। অন্যদিকে, কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর (২০২২ সাল) জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। সেই হিসাবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ৮৬ হাজার ২৪ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের চেয়ে এবার ৪৭ হাজার ৩১৩ জন বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। অথচ ২০২২ সালের চেয়ে পাসের সংখ্যা এবার এক লাখ ২ হাজার ৪৭৯ জন কম।
আরও পড়ুন>> স্কুলের একমাত্র পরীক্ষার্থীও ফেল
পাসের হার কমে যাওয়া নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেখুন, গত বছর করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর পরীক্ষা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে যা পড়তে হয়, পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে তার চেয়ে অনেক বেশি পড়ার প্রয়োজন হয়। পরীক্ষার মান যদি ভালো হয়, যাচাই যদি যথাযথ হয়, তাহলে তো সেটা ভালো দিক। স্বল্প সিলেবাসে পরীক্ষা হলে তো ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি পাস করবেই। এবার হয়তো পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী তা ভালো মতো আয়ত্ত করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এজন্য তারা খারাপ করেছে। পরীক্ষার ফলাফলে যে তারতম্য, সেক্ষেত্রে এটা খুব সাধারণ একটি কারণ হতে পারে। আরেকটা কারণ হতে পারে— গতবারের চেয়ে এবারের পরীক্ষাটা, আমি বলবো- পরীক্ষার মানের দিক দিয়ে, প্রশ্নের মানের দিক দিয়ে তুলনামূলক অবশ্যই ভালো হয়েছে।’
আরও পড়ুন>> এসএসসির ফলে খুশি জাতীয় দলের পেসার মারুফা
অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষার মানের ক্ষেত্রে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। তেমন তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো- রিলেটিভিটি, রিলায়েবিলিটি ও স্ট্যাবিলিটি। মানে আমি যা মাপতে চাচ্ছি, তা সঠিকভাবে মাপা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করা। সেটা যদি ভালো হয়, তাতে পাসের হার বা জিপিএ-৫ কিছুটা কমলেও ক্ষতি নেই বলে মনে করি। তবে, আমরা চাইবো- সেই মানে উত্তীর্ণ হয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষায় ভালো করবে।’
কিছুটা ভিন্নমত জানিয়েছেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এরা (২০২৩ সালের পরীক্ষার্থীরা) যখন অষ্টম-নবম শ্রেণির ছাত্র, করোনা মহামারিটা তো ঠিক তখনই গেলো। করোনাকালে তো এদের পড়াশোনায় ভাটা পড়েছে কিছুটা হলেও। সেটার প্রভাব থাকতে পারে। এটা যত দ্রুত কাটিয়ে ওঠা যাবে, ততই ভালো।’
আরও পড়ুন>> সৈকতে নেমে মারা যাওয়া সেই নাবিল পেলো জিপিএ-৫
ছাত্রীদের শ্রেষ্ঠত্ব ‘বড় অর্জন’, ছাত্রদেরও টেনে তুলতে হবে
এ বছর এসএসসির ফলাফলে সবদিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। সেটা পাসের হার হোক, কিংবা জিপিএ-৫ প্রাপ্তি। এমনকি পরীক্ষায় অংশও নিয়েছে বেশি সংখ্যক ছাত্রী। ছাত্রদের চেয়ে ১৩ হাজার ৬৫০ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। পাসের ক্ষেত্রেও ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের এগিয়ে থাকার ব্যবধান প্রায় ৪৮ হাজার। ছাত্রীদের এমন এগিয়ে যাওয়াকে শিক্ষাবিদরা বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন। তবে, কয়েক বছর আগেও যেখানে ছাত্রীদের পিছিয়ে থাকা নিয়ে কথা হতো, সেখানে এখন ছাত্রদের পিছিয়ে যাওয়াটা শঙ্কার বলেও মনে করেন তারা। শিক্ষাবিদরা বলছেন- দ্রুত যথাযথ কারণ খুঁজে ছাত্রদেরও সমানতালে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
এ প্রসঙ্গে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘করোনাকালে অনেক ছাত্র শ্রমে যুক্ত হয়ে গেছে। পরিবারের আয়ে হাত লাগিয়েছে অনেকে। যদিও প্রাথমিকে ছাত্রদেরও উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রদের ঝরে পড়ার ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক নানান কারণও আছে। যেমন- কিশোর গ্যাংয়ের জড়িয়ে পড়া।’
আরও পড়ুন>> ছাত্রদের পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কিশোর গ্যাং: রাশেদা কে চৌধুরী
ছাত্রদের পিছিয়ে পড়ার কারণ যাই হোক, তা খুঁজে বের করা জরুরি বলে মনে করেন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সবক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। দেশের জনসংখ্যা অর্থাৎ আদমশুমারি বা জনশুমারি যেটাই বলি না কেন, তাতে বালকদের সংখ্যা বালিকাদের চেয়ে বেশি দেখি অনুপাতিক হারে। কিন্তু এসএসসির রেজাল্টে দেখা যাচ্ছে- পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ছেলের চেয়ে মেয়ে বেশি। আবার পাসের হারেও মেয়েরা বেশি, জিপি-৫ পাওয়ার দিক থেকেও ছাত্রীরা এগিয়ে। এটা অবশ্যই বড় অর্জন। কিন্তু আমি মনে করি, ছেলে-মেয়ে সবাই এগিয়ে যাবে। একটা সেকশন এগিয়ে যাবে, আরেকটা পিছিয়ে যাবে এটা ভালো দিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘ছেলেদের পিছিয়ে থাকা কারণ খুঁজতে হবে। সমাজের একটা অংশ পিছিয়ে পড়লে সেটা খারাপ দিক। এতদিন মেয়েরা পিছিয়ে ছিল। এখন ছেলেরা ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে কারণ খুঁজে বের করতে হবে। বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন>> বিদেশ কেন্দ্রে পাস ৮৫.৩৩ শতাংশ
প্রশ্নের মান বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার তাগিদ
পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে যে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হচ্ছে— তার মান আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। নতুন শিক্ষানীতি, সৃজনশীল পদ্ধতি যেটাই হোক না কেন, প্রশ্নের মানের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। নতুন পদ্ধতি বলে এক-দুবছর ছাড় দিয়ে প্রশ্ন করার রেওয়াজও বাদ দিতে হবে বলে মনে করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ভুল বা অযাচিত উত্তর দিয়েও নম্বর পেয়ে যায়। কারণ আমাদের পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে প্রশ্ন করা হয়, অনেক সময় দেখা যায় প্রশ্নের মান নিম্নমানের। একটা উদাহরণ দিই, যেমন- ‘সম্রাট আকবরের চরিত্র সম্পর্কে যাহা জানো লিখো’। এ প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থী যদি লিখে দেয়- ‘আকবর নারীভক্ত ছিলেন’। তবুও পরীক্ষককে ১০/১০ নম্বর দিতে হবে। কারণ তাকে বলা হয়েছে, ‘যাহা জানো তাহাই লিখো’। ওই শিক্ষার্থী জানে আকবর নারীভক্ত ছিলেন, সে তাই লিখেছে। ফলে তাকে নম্বর দিতে পরীক্ষক বাধ্য। এ ধরনের প্রশ্ন করা উচিত নয়। প্রশ্ন করার জন্য কিছু টেকনিক থাকা উচিত। অবশ্যই বৈশিষ্ট্য রেখে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন>> এসএসসি পাস করলেন ইউপি মেম্বার শামীম
এ প্রসঙ্গে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘প্রশ্ন আগের চেয়ে এখন বেশ ভালো করছে। কিন্তু আমি যতদূর শুনেছি- প্রশ্নপত্র প্রণয়নে যারা জড়িত, তাদের যথাযথ পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। আপনি কম পারিশ্রমিক দিয়ে— যতই ইমোশনাল কাজই হোক, তা ভালো মানের করিয়ে নিতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। ভালো প্রশ্নপত্র ছাড়া কখনই মেধাবীদের মূল্যায়ন সম্ভব নয়।’
মেধা মূল্যায়নে ‘মাপকাঠি’ অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বরিশালে সেটা ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। আবার সিলেটে আরও কম, ৭৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। রাজশাহী ও যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে (মোট জিপিএ-৫-এর মধ্যে শতাংশ হিসাবে) যথাক্রমে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। অথচ সিলেট বোর্ডের শিক্ষার্থীরা মাত্র ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর পেছনে প্রশ্নপত্র সহজ, উত্তরপত্র মূল্যায়নে লিবারেল (গড়পড়তা) নির্দেশনা কাজ করে থাকে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন- যদি সারাদেশের সব শিক্ষা বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া যেতো, তাহলে পরীক্ষা ও পরীক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন মাপকাঠি আরও ভালো হতো।
আরও পড়ুন>> সবচেয়ে বেশি ফেল ঢাকা বোর্ডে, জিপিএ-৫ কম সিলেটে
অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান মনে করেন প্রশ্নফাঁসের ভয়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করেছে সরকার। এটা উচিত নয় বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বোর্ডের ফলটা তুলনামূলক কম হওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক। ঢাকা বোর্ডের অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক ভালো। যদিও ঢাকার বাইরের কয়েকটি জেলাও এ বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত। তবুও আমি বলবো- এ বোর্ডের অধীনে যারা পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের অভিভাবকরা বেশি সচেতন। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ভালো প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। বরিশাল বোর্ড যে ঢাকা বোর্ডের চেয়েও ভালো করলো- এরও কিছু কারণ থাকতে পারে। যেমন- বরিশাল বোর্ড হয়তো সহজ প্রশ্ন করেছে। খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কিছুটা লিবারেল নির্দেশনা দিয়ে থাকতে পারে।’
‘কয়েকবার তো সব শিক্ষাবোর্ডে একই প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়েছে। যদি এটা করা যেতো তাহলে যাচাইটা একই রকম হতো। এটা বন্ধ রাখারও কারণ প্রশ্নফাঁস। কোথাও প্রশ্নফাঁস হলে সেটা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো- প্রশ্নফাঁসটা হবে কেন? এটা ঠেকানো যাবে না কেন?’ যোগ করেন এ শিক্ষাবিদ।
আরও পড়ুন>> ভিকারুননিসা নূন স্কুল শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
তবে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়াটা অত্যন্ত জটিল বলে মনে করেন রাশেদা কে চৌধুরী। তার ভাষ্য, ‘এত শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরের কয়টা দেশে আছে বলুন? আমাদের সীমাবদ্ধতা অনেক। তার মধ্যে শিক্ষার্থীও অনেক। এক-একটা পাবলিক পরীক্ষার আয়োজন করা বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। যদি অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া যেতো তাহলে তো খুবই ভালো হতো। মেধা মূল্যায়নে ভিন্ন ভিন্ন মাপকাঠির মুখোমুখি হতে হতো না শিক্ষর্থীদের। আশার দিক হলো- নতুন যে শিক্ষানীতি চালু হয়েছে, তা পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের পর অভিন্ন প্রশ্নে সব বোর্ডে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হতে পারে।’
এএএইচ/এমএএইচ/এমএস