জাতীয়করণের দাবি
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫ মিনিটের সাক্ষাৎ চান আন্দোলনরত শিক্ষকরা
বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে টানা ১২ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। প্রতিদিনের মতো শনিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পল্টন মোড় থেকে হাইকোর্ট অভিমুখী রাস্তারে একপাশ বন্ধ করে কর্মসূচি হচ্ছে।
এদিকে, জাতীয়করণের দাবি ছাপিয়ে শিক্ষক নেতাদের বক্তব্যে বারবার উঠে আসছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচ মিনিটের সাক্ষাতের আর্জি। সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী যে আশ্বাস দেবেন, তা নিয়েই ঘরে ফিরতে চান বলে জানাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে ‘না’, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন শিক্ষকরা
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট কোনো আশ্বাস বা দিক-নির্দেশনা দিতে পারেননি। দূর-দূরান্ত থেকে আমাদের শিক্ষকরা ঢাকা এসে এভাবে খালি হাতে ফিরে যেতে পারেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্তত পাঁচটা মিনিট সাক্ষাৎ করতে চাই। উনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের আশ্বস্ত করলে আমরা ফিরে যাবো।
বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া বলেন, জাতীয়করণ নিয়ে বৈঠকে আমাদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী আলোচনা করেননি। তিনি শুধু তার কথা বলে গেছেন। আমরা জানি এবং মানছি যে, বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে। আগামীতে আরও করবে। তবে সবার আগে বৈষম্যের শিকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দিকে নজর দিতে হবে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ চাই, আশ্বস্ত হতে চাই। উনি আমাদের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দিলে আমরা কর্মসূচি স্থগিত করে ঘরে ফিরে যাবো।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয়, ক্লাসে ফিরে যান: শিক্ষামন্ত্রী
এর আগে ১৯ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ওই বৈঠকে মন্ত্রী জানিয়ে দেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়। তবে জাতীয়করণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দুটি কমিটি গঠনের কথা জানান তিনি। একইসঙ্গে মন্ত্রী শিক্ষকদের নিজ নিজ এলাকায় ফিরে ক্লাসে যোগদানের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল
তবে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি দাবি করে পরদিন ২০ জুলাই ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা। শুক্রবার (২১ জুলাই) ছুটির দিনেও প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি করেন তারা।
এএএইচ/জেডএইচ/এএসএম