বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার প্রতি জোর দেওয়ার আহ্বান
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে দেখতে চান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি অভিজ্ঞতা ও উন্নত গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মান অর্জন করে বিশ্ব দরবারে অবস্থান করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (১৩ মে) গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শৌভিক ভট্রাচার্য্য, বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন> প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পাচ্ছেন ১৭৮ শিক্ষার্থী
র্যাংকিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক পিছিয়ে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটি সত্য যে আমরা র্যাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। এটিও সত্য র্যাংকিংয়ে ওপরে থাকার জন্য যে বিষয়গুলোয় মনোযোগ দিতে হয় আমরা সে বিষয়গুলোর দিকে আমরা মনোযোগী ছিলাম না।’
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের দক্ষ গবেষক নেই, শিক্ষায় অনেক ঘাটতি আছে তেমন কিন্তু নয়। আমাদের অত্যন্ত দক্ষ গবেষক রয়েছেন, গুণগতমানের শিক্ষক রয়েছেন। আসলে আমরা যে যে বিষয়গুলোর ওপর র্যাংকিং নির্ভর করে, সে সব ক্ষেত্রে মনোযোগী ছিলাম না। এখন বিশ্ববিদ্যালগুলো কিছুটা মনোযোগী হচ্ছে। এখন না হোক অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সবগুলো না হোক কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে ভালো জায়গায় উঠে আসবে।’
আরও পড়ুন>নীতিমালা জারি/র্যাগিংয়ে জড়ালেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
শিক্ষক ও বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি জমির পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। রাসায়নিক সারের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে কৃষি জমির উৎপাদনশীলতা ও উর্বরতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হ্রাস ও পরিবেশ দূষণের ফলে ফসল উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। খরা, বন্যা, লবণাক্ততা, আর্সেনিক বিষাক্ততা ও দুর্যোগজনিত নানামুখী কারণে জমির উৎপাদন ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কৃষি গবেষণাকে অগ্রগতি দিয়ে খাদ্য উৎপাদনে আধুনিক ও উন্নত লাগসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সেগুলোর যথাযথ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে সরাসরি প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।’
এমএইচএম/এসএনআর/এমএস