ইউজিসি’র বার্ষিক প্রতিবেদন

যে কোনো বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ আসতে পারে

মুরাদ হুসাইন
মুরাদ হুসাইন মুরাদ হুসাইন , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১১ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০২৩
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের লাইন/ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স ও সময়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে যে কোনো বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হতে পারে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় একাধিকবার অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হতে পারে।

কমিশনের ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ১৭টি সুপারিশ করেছে ইউজিসি। এই সুপারিশগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স শিথিলের কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়া হবে এই বার্ষিক প্রতিবেদন।

ইউজিসি’র সুপারিশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স ও সময়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা যেতে পারে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় একাধিকবার অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা যেতে পারে। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর যে কোনো সময় যেন ভর্তির সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। একইভাবে একজন শিক্ষার্থীকে বিষয় পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন: স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে

এছাড়া সুপারিশে একটি সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট গঠন করার কথা বলেছে ইউজিসি। আর সমুদ্র সম্পদের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশেষায়িত গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশেষ তহবিল সরবরাহের সুপারিশ করা হয়েছে।

ইউজিসি’র সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং যোগ্য জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে একটি স্বতন্ত্র নিয়োগ কমিশন গঠন করা যেতে পারে।

বার্ষিক প্রতিবেদনে ইউজিসি বলছে, পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগের বিরুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা বা বিচারিক ক্ষমতা নেই ইউজিসি’র।

আরও পড়ুন: ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে’

এ ক্ষেত্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম, অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি, সনদ বাণিজ্য, আর্থিক অনিয়ম ইত্যাদি হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা ইউজিসি’র থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছে সংস্থাটি।

এছাড়া গুণগত এবং মানসম্মত আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভ্যন্তরীণ র‌্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ইউজিসি।

সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী অর্থাৎ, ৪০ জনের বেশি ভর্তি করা যাবে না। একই সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নৈতিক অধঃপতন ঠেকাতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি যুক্ত করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন: বছর বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন ফি বাড়ছে কেন?

সনদ জালিয়াতি প্রতিরোধে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে ইউজিসি।

উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসি’র সুপারিশে বলা হয়েছে, দেশের শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের উপাচার্য হিসেবে ইউজিসি’র মাধ্যমে নিয়োগ দিতে পারে সরকার।

এমএইচএম/জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।