এসএসসির প্রশ্নফাঁসে জড়িত ৬ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও স্থগিত
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে জড়িত ছয় শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) স্থগিত করা হয়েছে। এই ছয়জনই কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত। এছাড়া একই বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম বিষয়ের খণ্ডকালীন সহকারী শিক্ষক জুবাইর হোসাইনকে বরখাস্ত করতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এ আদেশ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জারি হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষক-কর্মচারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা পরিপন্থি অপরাধ করায় তাদের এমপিও স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এরা হলেন- বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান, ইংরেজির শিক্ষক মো. আমিনুর রহমান, কৃষির শিক্ষক মো. হামিদুর রহমান, বাংলার শিক্ষক মো. সোহেল আল মামুন, অফিস সহকারী মো. আবু হানিফ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. সুজন।
মাউশির সাধারণ প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম এবং দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে।
ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসএসসির চারটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় চারজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী।
এরপর গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও কৃষি বিজ্ঞানের পরীক্ষা স্থগিত এবং উচ্চতর গণিত ও জীব বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষানেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষাবোর্ড।
এমএইচএম/কেএসআর/জেআইএম