এক হাজার শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে ‘ডাভ’-‘টিচ ফর বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৩ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২২

সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে ইউনিলিভারের ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’ (ডিএসইপি) এর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিলিভার বাংলাদেশের ৪০ জন কর্মী এক হাজার স্কুল শিক্ষার্থীকে নিয়ে ওয়ার্কশপের আয়োজন করে ‘টিচ ফর বাংলাদেশ (টিএফবি)’। যেখানে তাদের আত্ম-মর্যাদাবোধ ও শারীরিক গঠন নিয়ে আত্মবিশ্বাসীর গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানো হয়।

ইউনিলিভারের পার্সোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড ‘ডাভ’, একটি সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট পরিচালনা করছে। তারা এ ধারণাটি পৌঁছে দিতে চায় যে- উদ্বেগের নয়, সৌন্দর্য হওয়া উচিত আত্মবিশ্বাসের উৎস এবং এ প্রকল্পের লক্ষ্য আত্মবিশ্বাসী আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখা। যাতে তারা তাদের সম্ভাবনা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারে। ‘ডাভ ডে’ উপলক্ষে স্কুলে স্কুলে ওয়ার্কশপ পরিচালনার জন্য ইউনিলিভার বাংলাদেশের কর্মীদের একটি ট্রেনিং সেশনে অংশ নিতে হয়েছিল, যেটির আয়োজন করে টিএফবি’র নিজস্ব প্রোগ্রাম স্পেশালিস্টরা।

ট্রেনিং সেশনে ‘কনফিডেন্টলি’ মডিউলের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, যেটি ২০২১ সালে ইউনিলিভার ও টিএফবি যৌথভাবে তৈরি ও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছিল। দুইটি অঞ্চলে ওয়ার্কশপটি আয়োজন করা হয় এবং এতে ব্যক্তির বাহ্যিক অবয়বের কারণে সৃষ্ট সামাজিক চাপ ও এর ফলে আত্ম-মর্যাদায় প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করা হয়। এছাড়া, আলোচনায় আরো উঠে আসে সৌন্দর্যের ধারণাগত বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব, যেটির ফলে অনেককে কৃত্রিম সৌন্দর্য গ্রহণ করতে দেখা যায়।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড ওয়েলবিং ও পার্সোনাল কেয়ার-এর মার্কেটিং ডিরেক্টর আফজাল হাসান খান বলেন, ‘প্রতি দশজনের মধ্যে আটজন মেয়ে তাদের বাহ্যিক অবয়ব নিয়ে এতটা উদ্বিগ্ন থাকেন যে, তারা এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়েই অংশ নিতে চায় না এবং এ চিত্রটা আমরা বদলাতে চাই।

‘টিচ ফর বাংলাদেশ’-এর ভারপ্রাপ্ত সিইও ইজমা রহমান বলেন, টিচ ফর বাংলাদেশ, বিশ্বাস করে প্রতিটি শিশুই ভালোবাসা, মর্যাদা ও প্রগাঢ় মমতার দাবিদার। ডাভ ডে উপলক্ষে ইউনিলিভারের সঙ্গে এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে তথাকথিত সৌন্দর্যের ধারণা সামাজিকভাবে আরোপিত এবং তারা তাদের মতোই করেই সুন্দর ও ভালোবাসার যোগ্য।

প্রায় ৬০ বছর ধরে ‘ডাভ’ সৌন্দর্যকে উদ্বেগ নয় বরং আত্মবিশ্বাসের উৎস হিসেবে বিবেচনার জন্য উৎসাহ জুগিয়ে আসছে। দ্য ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’ ২০০৪ সালে বৈশ্বিকভাবে যাত্রা শুরু করে, যা এই প্রেক্ষাপটেরই বর্ধিত রূপ। আত্মবিশ্বাসী আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে ‘ডাভ’ বাংলাদেশে ৫০ লাখ শিশুকে শারীরিক গঠনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী করা এবং তাদের মাঝে আত্ম-মর্যাদাবোধ তৈরিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

আইএইচআর/জেএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।