সার্কাসের জন্য পাঠদানের সময় কমেছে
বিদ্যালয়ের মাঠে চলছে সার্কাস। আর তাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঠদানের সময় দুই ঘণ্টা কমিয়ে এনেছেন। একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও এক ঘণ্টা এগিয়ে ৯টায় শুরু করা হয়েছে। যেখানে বিকেল চারটায় ক্লাস শেষ হওয়ার কথা, সেখানে একটায় শেষ করা হচ্ছে।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নিলুফার ইয়াসমিন জাগো নিউজকে জানায়, শিক্ষকরা দুপুর একটা পর্যন্ত ক্লাস নিচ্ছেন। পূর্বে ৪৫ মিনিট করে ক্লাস হলেও এখন বেশ কয়েকটি ক্লাস ৩০ মিনিট করে নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া শীতের সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে আনায় শিশু-কিশোররা বিদ্যালয়ে আসতেও হিমশিম খাচ্ছে।
বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সেখানে উচ্চস্বরে মাইক বাজানোর কারণে পাশর্ণেবর্তী অনেক শিক্ষার্থীর পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে সার্কাসের নামে চালানো হচ্ছে কথিত পুতুল নাচ। যেখানে নগ্ন নৃত্য চলছে রাতভর। যা এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইদুজ্জামান রানা এই সার্কাসের আয়োজকদের প্রধান হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইদুজ্জামান ওরফে রানা দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। সময় একটু কমিয়ে আনলেও ঠিকমতো পড়ালেখা করানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আরশাদ আলী জাগো নিউজকে জানান, এলাকাবাসী অনেকেই সার্কাসের জন্য মাঠ ব্যবহারের দাবি করেন। যে কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে স্কুল এই জায়গা থেকে লাভবান হচ্ছে না। তিনি স্বীকার করেন এই সার্কাসের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।
আর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, শিক্ষকরা এভাবে পাঠদানের সময় কমিয়ে আনতে পারেন না। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
এমজেড/আরআইপি