সেফটি বাস মানলো না মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকেও

রাজধানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হাত তুলে সেফটি নামে একটি বাসকে থামাতে বললেও বাসটি না থেমে চলে যায়। এতে ভিড় করা উৎসুক মানুষের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন শেরে বাংলা নগরের প্রধান সড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে রাস্তায় নেমে সিএনজি, বাস ও প্রাইভেটকারের কাগজপত্র দেখা শুরু করেন। বাসে ভাড়ার চার্ট আছে কি না এবং সিএনজিতে মিটার চালু রয়েছে কি না তা তিনি নিজে দেখা শুরু করেন।
এরই মধ্যে আজিমপুর মিরপুর রুটে চলাচলকারী একটি সেফটি বাসকে মন্ত্রী হাত তুলে দাঁড়াতে বললে তা না শুনেই গতি বাড়িয়ে চলে যায়। এসময় পেছন থেকে দু’তিন জন পুলিশ সদস্য বাসটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেও পারেন নি। গতি এতো বেশি ছিল যে বাসটির নম্বর লেখে রাখা সম্ভব হয়নি।
শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গাড়ির মালিকদের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও চালকদের বেপরোয়া আচরণ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন করার কথা বললেও নিজে অভিযানে নেমে একটি প্রাইভেটকারের কাগজও চেক করে দেখেন নি।
তবে তিনি নিজে মিরপুরগামী (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৪৮৫৫) একটি বাসকে ভাড়ার চার্ট না থাকার অভিযোগে জরিমানা ও মামলা দেয়ার পরামর্শ দেন।
বিআরটিএর আদালত নং ৫ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আলামিন জাগো নিউজকে বলেন, প্রথম এক ঘণ্টায় (সাড়ে ১০ থেকে সাড়ে ১১টা) ৭টি গাড়ী ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে। ৩ জনকে জেল, ৩টি বাসের চালক ও ড্রাইভারকে ২২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মোট ১৩টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে বিআরটিএ।
জেইউ/এআরএস