ছাত্রী হয়রানি : এসআই রতনের বিরুদ্ধে মামলা
আশা ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রীকে হয়রানি ও অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রতন কুমারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই ছাত্রী নিজেই মামলাটি করেছেন।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ ওই ছাত্রীর জবানবনন্দি রেকর্ড করেছেন।
এরআগে ফারহানা আক্তার নামে ওই ছাত্রীকে হয়রানির বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে রতন কুমারকে সাময়িক বরখাস্ত করে তেজগাঁও পুলিশ। ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস পুলিশি নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এসেছে। পুলিশ অবশ্য বলছে, ব্যক্তির দায় বাহিনী নেবে না। একইসঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধে জড়িয়ে পড়লে তাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে বলেও দাবি পুলিশের।
ফারহানা আক্তারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনা রোববার বিকেলের হলেও রাত ১১টা ৩ মিনিটে শোনার পরপরেই এসআই রতনকে প্রত্যাহার করার আদেশ দেই। তবে সোমবার সকালে বিষয়টি আরো গুরুতর জানতে পেরে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করার আদেশ দিয়েছি।
গতকাল রোববার বিকেলে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের সামনে আশা ইউনিভার্সিটির ওই ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে এসআইয়ের রতনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়া যায়, রতন ওই ছাত্রীকে রিকশা থেকে জোর করে নামিয়ে একটি দোকানের ভেতরের নিয়ে যান। পরে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর অপচেষ্টাও চলে। দেয়া হয় অনৈতিক কাজের প্রস্তাব।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, ঘটনার পরপরই থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
ছাত্রীর অভিযোগ, বিকেলে তিনি ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে বই কিনতে শিয়া মসজিদের দিকে রিকশায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মসজিদের বিপরীতে আদাবর থানার এসআই রতন কুমারসহ পুলিশের তিন সদস্য তার রিকশাটি থামান এবং কিছু বলার আগেই তার কাছে ইয়াবা আছে কি না জানতে চাওয়া হয়। এতে তিনি চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
একপর্যায়ে শিয়া মসজিদের বিপরীতে একটি দোকানে তাকে জোর করে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। সেখানে নেয়ার পর এসআই রতন তাকে অনৈতিক প্রস্তাবও দেন।
তবে অভিযুক্ত এসআই রতন কুমারের দাবি, ওই শিক্ষার্থীকে রিকশা থেকে নামিয়ে তল্লাশি করা হয়নি। তাকে আগে থেকেই চেনেন তিনি। আদাবরের যুবদল নেতা সজিব আহমেদ রানার স্ত্রী। তার স্বামীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ রয়েছে।
জেইউ/এনএফ/এমএস