পদত্যাগ করলেন মঞ্জুর কাদের
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই মামুনুল ইসলামসহ জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিয়ে রশি টানাটানি চলছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মঞ্জুর কাদেরের। চলছিল আল্টিমেটাম আর পাল্টা আল্টিমেটামের খেলা। শেষ পর্যন্ত শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের সভাপতির পদ থেকেই পদত্যাগ করলেন মঞ্জুর কাদের।
ধানমন্ডি ক্লাবকে নতুন রূপ দান করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নাম দেয়ার পর দেশের ফুটবলে সেরা ক্লাবে পরিণত হয় এটি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, ফেডারেশন কাপসহ ঘরোয়া প্রতিটি ফুটবল আসরেই সেরার আসন দখল করছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দেশ সেরা ফুটবলারদের সমাবেশ ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বেশ সুনাম কুড়িয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটি।
তবে, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সময় থেকেই ফুটবলার নিয়ে বাফুফের সঙ্গে গন্ডগোল বাধে ধানমন্ডি ক্লাবের। বাহরাইনের কাছে হেরে সেমি থেকে বিদায় নেয়ার পর ওইদিন রাতেই হোটেল থেকে ফুটবলারদের ছিনতাই করার চেষ্টা চালায় শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। শেষ পর্যন্ত বিষয়টা গড়ায় অনেকদুর।
শেষে ২৭ জানুয়ারি ফুটবলারদের ফেরত দেয়ার জন্য বাফুফের প্রতি আল্টিমেটাম দেয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব সভাপতি মঞ্জুর কাদের। পরদিন বাফুফে তার এই আল্টিমেটাম নাকচ করে দেয়। একদিন যেতে না যেতে আজ (শনিবার) ক্লাবের সভাপতির পদ থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি। উল্লেখ্য, মঞ্জুর কাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর। আজ (শনিবার) তিনি পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছে দেন বলে জানা গেছে। মনজুর কাদের পদত্যাগের কারণ দেখিয়েছেন স্বাস্থ্যগত। তবে কারণটা যে অন্য, সেটাই আলোচনা হচ্ছে এখন। বুধবার ক্লাব চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের কাছে ৯ জন খেলোয়াড় ফেরত দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন। ফুটবল ফেডারেশন তার দাবি নাকচ করে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে তিনি বাফুফের জেলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। কদিন পর এএফসি কাপের মূলপর্বে অংশ নেবে শেখ জামাল। এ আসরে অংশ নিতে প্রয়োজনীয় খেলোয়াড়ই সংগ্রহ করতে পারেনি ক্লাবটি। ফলে এমন ভাঙ্গা দল নিয়ে এমন মর্যাদাপূর্ণ আসরে খেলা সম্ভব নয়, এটা অনুমেয়ই ছিল।
আইএইচএস