চাঁদপুরে আ.লীগের সম্মেলন ২৬ জানুয়ারি
দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আগামী ২৬ জানুয়ারি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।
এদিকে চাঁদপুরের রাজনীতির মাঠে সম্মেলনকে ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা। সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ জনগণও কৌতুহলী হয়ে অপেক্ষা করছে কে হবে জেলা আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত কর্ণধার। নতুন নেতৃত্বের হাতে যাবে আওয়ামী লীগ নাকি পুরনোরাই আবারো হাল ধরবে। নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে এ নিয়ে কথপোকথন। এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বসে নেই তারাও কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জাগো নিউজকে জানান, ২০০৫ সালের ২৬ এপ্রিল চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনের পর আর কোনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। সর্বশেষ ৯ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের দিন আগামী ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার ধার্য করে দেন। বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ ৭১ সদস্য বিশিষ্ট হলেও এর মধ্যে ১০ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। ২ জন সদস্য দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
আগামী ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার কাউন্সিলর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যারা অংশ নিচ্ছেন বলে জেলা নেতৃবৃন্দের আলোচনা থেকে শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন- সভাপতি পদে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া এমপি, বর্তমান সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ওসমান গণি পাটোয়ারী।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ মো. জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল হক মন্টু পাটোয়ারী ও তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী জাগো নিউজকে জানান, এখনও চাঁদপুর সদর উপজেলা ও চাঁদপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। এ অবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হলেও এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সভাপতি পদে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া, মো. ইউছুফ গাজী, আবদুল মান্নান মিয়াজী ও অধ্যাপক মোল্লা মো. রিয়াছত উল্লাহ এবং সাধারণ পদে আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী ও অ্যাড. জহিরল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হন। কিন্তু সভাপতি পদে শেষ পর্যন্ত ভোট হয়নি। এ পদে শামছুল হক ভূঁইয়া ও ইউছুফ গাজীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। অবশেষে নানা নাটকীয়তার পর সভাপতি পদে মনোনয়ন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেয়া হয়। পরে কেন্দ্র থেকে সভাপতি হিসেবে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার নাম ঘোষণা করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগ কমিটি তিন বছরের মেয়াদে হলেও বর্তমান কমিটির বয়সকাল ১১ বছর পূর্ণ হতে প্রায় তিন মাস বাকি। আগামী ২৬ জানুয়ারি সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলে সম্মেলন স্থান ও অতিথি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ইকরাম চৌধুরী/এসএস/পিআর