আ.লীগকে রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে : রিজভী

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, মানুষের প্রতিবাদের যে অধিকার তা গণতন্ত্র এবং আমাদের সংবিধান স্বীকৃত। এগুলোর কোনো মূল্য নেই আওয়ামী লীগের কাছে। জনগণের রক্ত ঝরিয়ে তারা টিকে থাকবে বলে মনে করছে। কিন্তু এই রক্তের ঋণ যে একদিন মহামূল্যে পরিশোধ করতে হবে তা তারা টের পাচ্ছে না।

মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কওমী মাদরাসা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাসুদুর রহমানকে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কওমী মাদরাসার ছাত্রদের আন্দোলনে সন্ত্রাসীদের হামলা ও শিক্ষার্থী হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

রিজভী বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার নৈতিকতার ধার ধারেন না বলেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিজেদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে ভাড়াটিয়া খুনী বাহিনীতে পরিণত করেছে। এদের দিয়ে জনগণের প্রতিবাদকে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করা হচ্ছে। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কোনদিনই গণতন্ত্রের ধার ধারেন না। মানুষের প্রতিবাদের যে অধিকার তা গণতন্ত্র স্বীকৃত এবং আমাদের সংবিধান স্বীকৃত। এগুলোর কোন মূল্য নেই আওয়ামী লীগের কাছে।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আবারও সমন জারি করা হয়েছে। এর আগেও একই মামলায় তারেক রহমান খালাস পেলেও জিয়া পরিবারের প্রতি সরকারের তীব্র বিদ্বেষের কারণে আবারও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একই মামলায় ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। আদালত তাকে খালাস দিলেও শেখ হাসিনার ঈর্ষা তাকে খালাস দিচ্ছে না। সরকার ও সরকারের দোসরদের ষড়যন্ত্র অব্যাহতভাবে চলছে।

তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নানা দিক থেকে দুর্বল করার জন্য সরকারের এই সমস্ত ব্যর্থ পরিকল্পনা। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানাবিধ মামলা দিয়ে হয়রানি দুদক ও সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তারেক রহমানের নামে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

তিনি দাবি করেন, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলে পৌর নির্বাচনে ৯০ ভাগ আসনে বিএনপি বিজয়ী হতো। কুড়িগ্রামে দুটি পৌরসভায় হেরেছে এবং একটি পৌরসভায় বিজয়ের পথে। সরকারি দল প্রশাসনের সহায়তায় ছিনিয়ে না নিলে কুড়িগ্রামের সবকটি পৌরসভায় বিএনপির বিজয় হতো।

নাজমুল হোসেন/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।