শিক্ষক নিয়োগে ফের বড় বিজ্ঞপ্তি আসছে এপ্রিলে
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে আগামী মার্চ মাসের শেষ দিকে অথবা এপ্রিলের শুরুতে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বর্তমানে শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসে ১৫ হাজার শিক্ষকের বিশেষ নিয়োগের পর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারাদেশে আরও ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে জানা গেছে।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান জাগো নিউজকে বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির কিছু কাজ এখনো বাকি। ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ দেবেন। এরপর শূন্যপদ পূরণে দ্বিতীয় মেধাতালিকা দেবো আমরা।
তিনি বলেন, একদিকে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির যোগদান চলবে, তার সঙ্গে এ ধাপে ১৫ হাজার শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে। এটি মার্চের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে। চলতি সপ্তাহে এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। মার্চ মাসের শেষদিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির কাজ শুরু করবো এবং এপ্রিলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এনটিআরসিএ’র একজন কর্মকর্তা জানান, গত তিন বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত ছিল। এ কারণে সারাদেশে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য। তৃতীয় ধাপে ৩৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আরও প্রায় ৪০ হাজার পদ শূন্য। সেগুলো চতুর্থ ধাপে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এর আগে রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ই-রিকুইজিশনের মাধ্যমে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। এরপর দুপুর ১টার পরে তারা যান ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় অবস্থিত এনটিআরসিএ অফিসের সামনে। সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলকে ডেকে পাঠায় এনটিআরসিএ।
এ বিষয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিপ্রত্যাশী এম এ আলম বলেন, এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মার্চের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির কাজ শুরু করে এপ্রিলের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
সম্প্রতি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনকারীরা।
বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের অধিকাংশই ইনডেক্সধারী হওয়ায় এবং নারী কোটা ও অন্য ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রয়ে যায়। এ অবস্থায় শিক্ষক সংকট দূর করতেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে এনটিআরসিএ।
তবে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিপ্রত্যাশীদের দাবি, ই-রিকুইজিশন নিয়ে সমন্বয় করে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক। এতে শূন্যপদ পূরণ সম্ভব।
এমএইচএম/এমএইচআর/জিকেএস