বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩


প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, ০১ জানুয়ারি ২০১৬

যশোরের শার্শা ও চৌগাছা এবং শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার এ সকল দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা যায়-

যশোর :

যশোরের শার্শার গাতীপাড়ায় নসিমনের ধাক্কায় সাথী খাতুন (৫) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শার্শা-কাশিপুর সড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাথী ওই গ্রামের শিমুল মোল্যার মেয়ে।

শার্শা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম বলেন, সকালে সাথী রাস্তা পার হওয়ার সময় নিজামপুর থেকে গোড়পাড়াগামী একটি নসিমন তাকে ধাক্কা দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নসিমন চালক বড়নিজামপুর গ্রামের ইব্রাহিমকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

এদিকে, যশোরে বাসের ধাক্কায় স্কুলছাত্র আব্দুল মান্নান (১৬) নিহত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের মুলিখালি এলাকায় ঝিকরগাছাগামী যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেল আরোহী মান্নানকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত মান্নান উপজেলার গরীবপুর আদর্শ বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র ও পিতম্বরপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ওই বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এরপর বাস মালিক সমিতি চৌগাছার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।

চৌগাছা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম বলেন, স্কুলছাত্র আবদুল মান্নান মোটরসাইকেল করে ঝিকরগাছা সড়ক দিয়ে গ্রামের বাড়ি পিতম্বরপুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মুলিখালি এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীবাহী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলের প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে পিতম্বর গ্রামবাসী বাসটি আটকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ঝিকরগাছা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চৌগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, বাসটির চালক জিয়াউর রহমানকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। পুলিশ তাকে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

শরীয়তপুর :

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতিয়ানী গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (৮) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কনেশ্বর ইউনিয়নের ২৭নং ছাতিয়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ও দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতিয়ানী গ্রামের শাহিন সরদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৮) স্কুলে নতুন বই আনতে যাচ্ছিল। ২৭ নং ছাতিয়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে রাস্তা পার হতে গিয়ে অটোবাইকের ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সুমাইয়া মারা যায়।

ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ মো. আশরাফুল আমিন বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।