টিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
নিজের স্কুলে টিকা কেন্দ্র পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আমাদের শিক্ষকরাই এখানে আছেন। সোমবার (১ নভেম্বর) টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর ভয় পাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন টিকা নেওয়ার পর ভয় কেটে গেছে। টিকার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ— টিকা নেওয়ার পর এভাবেই নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী রাইফা আনিকা।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করছে। অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অভিভাবকও এসেছেন। সকাল থেকেই উচ্ছ্বাসিত দেখা গেছে টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের।
ধানমন্ডি, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগর—এ চারটি থানার আওতাধাীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথমদিনে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে পারবে। তাই, সকালে টিকা নিতে কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ভিড় করছে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুল ও বিসিএসআইআর হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বিকেল শিফটে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা টিকা নেবে। এ টিকা কার্যক্রম চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
বিসিএসআইআর স্কুলের ষষ্ঠশিক্ষার্থী জিসান বলেন, আব্বুর সঙ্গে টিকা নিতে এসেছি ৷ আব্বু বাইরে অপেক্ষা করছেন। এখন আর ভয় পাচ্ছি না। টিকা নেওয়ার পর বিশ্রাম নিয়েছি। এখন বাসায় যাবো।
ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুলের শিক্ষার্থী মালিহা মাহজাবিন বলেন, আমার খুব ভালো লাগছে যে উন্নত দেশের মতো আমরাও টিকা নিতে পারছি। এখানে খুব সুন্দর পরিবেশে টিকা নিতে পেরেছি। সবাইকে ধন্যবাদ।
এ কেন্দ্রে মোট ২৫ টি বুথ থাকলেও আজ ১০ টি বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুথে ২০০ জন শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারবে। সেই হিসেবে আজ মোট দুই হাজার শিক্ষার্থী এ কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে। তবে কেন্দ্রে প্রতিদিন ৮ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন।
নাহিদ হাসান/এমএএইচ/জেআইএম