কুমিল্লায় যৌতুকের জন্য দগ্ধ হলেন সুমি
কুমিল্লায় যৌতুক না পেয়ে সুমি আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা করেছেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বুধবার গভীর রাতে তাকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা ইউনিয়নের শিমানারপাড় গ্রামে ওই নৃশংস ঘটনা ঘটার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে সুমির স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার শিমানারপাড় গ্রামের আল-আমিনের সঙ্গে জাঙ্গাল গ্রামের রফিকুল ইসলাম মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য কয়েকবার তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন চালান। সুমির বাবা রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, তার জামাতার চাহিদা মতো যৌতুক দিতে না পারায় তার স্বামী আল-আমিন, শ্বশুর নূরু মিয়া, শ্বাশুড়ি আয়েশা বেগম, ননদ মরিয়ম ও দেবর আশিক আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতনের পর ঘরে আটক করে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
স্থানীয়দের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে এ খবর পাই। পরে সন্ধ্যায় আগুনে ঝলসে যাওয়া সুমিকে উদ্ধার করে প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স এবং পরে গভীর রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে।
সুমির শরীরের প্রায় ৬৫% অংশ আগুনে পুড়ে গেছে। তাকে বিলম্বে হাসপাতালে নেয়ার কারণে শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। এদিকে সুমির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরাদনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ স্থানীয়দের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।
মো. কামাল উদ্দিন/এমজেড/এমএস