অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে ইউজিসি-ইউনিসেফ
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্টবিষয়ক চলমান কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সংস্থা দুটি।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) ইউনিসেফের নতুন কান্ট্রি প্রোগ্রামে (২০২২-২০২৬) অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মধ্যে একটি দ্বি-পাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্টের ওপর ফেলোশিপ প্রোগ্রাম, গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে সভায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ইয়াসমিন খান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলম, তথ্য ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড কোলাবোরেশন (আইসিসি) সেকশনের উপ-পরিচালক সুরাইয়া ফারহানা, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান ও আইসিসি সেকশনের সহকারী পরিচালক মো. মামুন উপস্থিত ছিলেন।
ইউজিসি সচিব তার বক্তব্যে কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ও একাডেমিক কারিকুলাম প্রণয়নে স্থানীয় প্রেক্ষিতসমূহকে প্রাধান্য প্রদান ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে ইউনিসেফের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে ইউজিসির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তার বক্তব্যে বলেন, পরবর্তী কান্ট্রি প্রোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্ভাবনী কাজে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমে সংযুক্ত করার প্রস্তাব করা হবে। এছাড়াও কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ওপরও জোর দেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এমএইচএম/এআরএ/এএসএম