ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস : সময় চাইল তদন্ত কমিটি
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফাঁস হওয়া ‘কথোপকথনের’ ঘটনার তদন্ত শেষ হলেও অডিওটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ জন্য আরও তিনদিন সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির একজন বলেন, ‘তদন্তকাজ শেষে বর্তমানে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। তবে অডিওটি আসল না-কি এডিট করা তা যাচাই করতে অভিজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেটি এলে চূড়ান্তভাবে প্রতিবেদন ও সুপারিশ তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘কমিটির মেয়াদ তিনদিন হলেও টেকনিক্যাল কারণে সময় বাড়ানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের দফতরে আবেদন করা হয়েছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে সচিব মো. মাহাবুব হোসেন মঙ্গলবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এদিকে ২৭ জুলাই ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ও অভিভাবকের ফোনালাপের ঘটনা খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তারকে সভাপতি করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অপর সদস্য হলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন। এ তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। সোমবার শেষ হচ্ছে এর সময়।
এদিকে ফাঁস হওয়া ‘কথোপকথনের’ বিষয়ে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ কামরুন নাহার বলেন, ‘তিনি কাউকে গালিগালাজ বা হুমকি দেননি। কিছু অভিভাবক তার কাছে অনৈতিক সুবিধা চেয়ে ব্যর্থ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অধ্যক্ষ পদ থেকে তাকে সরাতে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ কারণে তার সঙ্গে একজন অভিভাবকের কথা হলেও তিনি সেটি ‘সুপার এডিট’ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।’
এমএইচএম/জেডএইচ/এমএস