খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১ টায় ঢাকার বকশীবাজারের উমেষ দত্ত রোডে আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এদিকে খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় আদালতে আজও (বৃহস্পতিবার) অনুপস্থিতির জন্য তার পক্ষে আবেদন জানান আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
তিনি জানান, সুস্থতা সাপেক্ষে আগামী ধার্য তারিখে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেন। আদালত খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষীর জেরা ও নতুন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেন।
আদালতে বৃহস্পতিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ২৬তম সাক্ষী দুদকের সহকারী পরিচালক নাজমুল আহসানকে জেরা করছেন খালেদা জিয়ার সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান। এছাড়াও সাক্ষ্য দিতে আরো ৫ জন সাক্ষীকে হাজির রয়েছেন।
তারা হলেন- সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম আব্দুল গফুর, এজিএম মো. হারুন অর রশীদ, মিরপুর শিল্প এলাকা শাখার ব্যবস্থাপক হারুন অর রশীদ ফকির, ব্যাংকের জিএম আমিন উদ্দিন আহমেদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদ।
এর আগে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকায় মামলার কয়েকটি ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হতে পারেননি খালেদা জিয়া। এ জন্য তার পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা প্রদান করেন। চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই মাস লন্ডনে থেকে গত ২১ নভেম্বর দেশে ফিরেছেন তিনি। গত ৩০ নভেম্বর নাইকো সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান বেগম খালেদা জিয়া।
দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকলীন খালেদা জিয়া এ ষ্ট্রাস্ট করেছেন। যা আইনত করা য়ায় না। এছাড়া ষ্ট্রাষ্টের অর্থ নিজেরা লাভবান হতে ব্যয় ও আত্মসাৎ করেছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।
এফএইচ/আরএস/পিআর