আটকে গেছে স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষকদের প্রণোদনা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের 'আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়ার'-এর জটিলতায় অর্ধ লক্ষাধিক মাদরাসা শিক্ষক প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমান মহামারিতে বেতনবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রণোদনার অর্থ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব মো. শামছুল আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রথমধাপে নন-এমপিও শিক্ষকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার ২৫ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষকের প্রত্যেককে ৫০০০ টাকা এবং ৬৪০ কর্মচারীর প্রত্যেককে ২৫০০ টাকা প্রণোদনার টাকা দেন। সে কারণে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দ্বিতীয় ধাপে প্রণোদনার টাকা পেতে গত ১৬ মে কারিগরি, দাখিল, আলিম, ফাজিল, ও কামিল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকরা হালনাগাদ তথ্য ই-মেইলে জেলা শিক্ষা অফিসার/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার/থানা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তথ্য পাঠিয়েছিল। মাঠ প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তালিকা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর আইবাস++ সফটওয়ারে স্থানান্তরেরর সময় কিছু সমস্যার কথা জানানো হয়।
তাদের অভিযোগ, শিক্ষকদের পাঠানো তালিকা সংশোধন না করে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর তাদের মনগড়া মতামত দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠায়। এতে সারা দেশের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মাদরাসা শিক্ষক প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রণোদনার টাকা থেকে বঞ্চিত হয়।
এ বিষয়ে গত ২৮ জুন মাদরাসা অধিদফতরে যোগাযোগ করা হলে মাদরাসা শিক্ষকদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে যেতে বলা হয় বলেও জানান এই শিক্ষকরা।
এমএইচএম/এসএস/এএসএম