সরকারি মেডিকেলে বৃত্তির জন্য বিদেশি ৫শ’ শিক্ষার্থীর আবেদন


প্রকাশিত: ০৭:০৮ এএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনার জন্য বিদেশি প্রায় ৫শ’ শিক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের জন্য ১০২টি ও ননসার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ১০৫টি। সার্ক ও ননসার্কসহ সংরক্ষিত মোট আসন সংখ্যা ২০৭টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ জাগো নিউজকে জানান, চলতি বছর সংরক্ষিত মোট ২০৭ টি আসনের বিপরীতে মোট ৪৭১টি আবেদন জমা পড়েছে।

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আফগানিস্তান ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও ভুটান থেকে আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আফগানিস্থান থেকে কেউ ভর্তির জন্য আবেদন করেনি।

সার্কভুক্ত দেশছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, ইটালি, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, প্যালেষ্টাইন ও মিয়ানমার থেকে আবেদনপত্র জমা পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদনপত্র তাদের হাতে পৌঁছেছে। তবে কোন দেশ থেকে কতগুলো আবেদন জমা পড়েছে তা জানা যায়নি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে বিভিন্ন দেশের মধ্যে চিকিৎসা ও শিক্ষা বিষয়ে পারস্পরিক সম্প্রীতির নিদর্শনস্বরুপ দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে দেশীয় ছাত্রছাত্রীদের মতো নামমাত্র খরচে পড়াশোনার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ সরকার।

তারা জানান, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সংরক্ষিত কোটায় ভারতের শিক্ষার্থীদের জন্য মেডিকেলে ২২ ও ডেন্টালে ২টি আসন,  পাকিস্তানের মেডিকেলে ২১ ও ডেন্টালে ২টি আসন, নেপালে মেডিকেলে ১৯ ও ডেন্টালে ৩, মালদ্বিপে মেডিকেলে ৬ ও ডেন্টালে ১, শ্রীলংকায় মেডিকেলে ১৩ ও ডেন্টালে ২, ভুটানে মেডিকেলে ৫ও ডেন্টালে ২টি, আফগানিস্তানে মেডিকেলে ৩ ও ডেন্টালে ১টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। ননসার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা একেকটিতে একেক রকম।

নাম মাত্র খরচে বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনার জন্য আবেদনকারি বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের দেশের বিভিন্ন মেডিকেল ভর্তি এজেন্সির শীর্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে এ দেশে প্রভাবশালী মন্ত্রী, সাংসদ ও চিকিৎসক নেতাদের দিয়ে তদবির করাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দাবি দূতাবাসের মাধ্যমেই বাছাই করে মেধাবি শিক্ষার্থীদের বৃত্তিতে পড়াশোনার জন্য তালিকা প্রেরণ করে থাকে। তাদের সুপারিশকৃত তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়। সুতরাং তদবিরের মাধ্যমে ভর্তির কোন সুযোগ নেই বলে ওই কর্মকর্তারা মন্তব্য করেন।

এমইউ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।