আবারও শুরু হচ্ছে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট
আবারও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট শুরু হতে যাচ্ছে। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর আগামী সপ্তাহ থেকে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করতে যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করায় মাধ্যমিকের অ্যাসাইনমেন্টের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেয় মাউশি। গত ৫ এপ্রিল মাউশি এক নির্দেশনা জারি করে এ কার্যক্রম স্থগিত করে।
এর আগে গত বছরের মতো এ বছরও ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার জন্য ২০ মার্চ থেকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে সরকারি কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এ কার্যক্রমও স্থগিত হয়ে যায়।
মাউশি থেকে জারি করা আগের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, সপ্তাহ শুরুর দুদিন আগে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজ প্রকাশ করা হবে মাউশির ওয়েবসাইটে। সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের সেই অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ শেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে নতুন অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করবে। অনলাইনে বা সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া এবং গ্রহণ করতে বলা হয় স্কুলগুলোকে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, করোনা মহামারির কারণে গত বছর ১৮ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে নির্ধারিত পাঠ্যসূচির কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। এ কারণে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিকে পুনর্বিন্যাস করে শিক্ষার্থীদের শিখনপ্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে গত বছরের মতো ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ধারাবাহিকভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে যাওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইমেন্ট শুরু করতে মাউশিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি শুরু করা হবে। তবে অ্যাসাইমেন্ট আরো সৃজনশীল করতে কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আগামী সপ্তাহে শনিবার থেকে পুনরায় অ্যাসাইমেন্টের কাজ শুরু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এমএইচএম/এমএইচআর/এএসএম