আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার দাবি


প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৫

বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) ক্যাম্পাসে হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আলিম উল্যা মিয়ান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বেলা ২টার দিকে দুই শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে লাঠি-সোঠা নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে।

এসময় তারা অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয়।

তিনি বলেন, ফটকে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দিলে তাদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তাদের বাঁচাতে আসলে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপরেও নির্বিচারে হামলা করে আহত করা হয়। এ সময় ১২টি মাইক্রোবাস, শিক্ষার্থীদের বহনকারী  বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি বাসসহ বেশ কয়েকটি প্রাইভেটকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভাইস চ্যান্সেলর এর কক্ষে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ভাঙচুর চালায়।
 
তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিত হামলায় বিবিএ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক শায়খ ইমরান আকন্দ শুভসহ পাঁচজন শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিবাদ জানালে হামলাকারীরা ক্যাম্পাসের সামনে বিভিন্ন ওলি গলিতে অবস্থান নেয় এবং শিক্ষার্থীদের উপর গুপ্ত হামলা চালায়। পুলিশ হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পুলিশের উপরও হামলা চালায় এবং রাস্তার যানবাহন ভাঙচুর চালায়। পরে সন্ত্রাসীরা ছাত্র ও ছাত্রীদের মেস ও বাসায় গিয়ে শারিরিক নির্যাতন করেছে ও হুমকি দিয়েছে।
 
ড. এম আলিম উল্যা অভিযোগ করেন, ২৫শে অক্টোবর থেকে একটি জঙ্গি মৌলবাদি মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ২৫ বছর ধরে চলে আসা ড্রেস কোডকে ছুতা করে তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা চালায় এবং এদের ৭জন ব্যাক্তি বাংলাদেশ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে। রিট মামলাটি খারিজ হয়ে গেছে কিন্তু এদেরই একটি দল হাইকোর্টের রায়কে অগ্রায্য করে আসে পাশের মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রদের নিয়ে পেশি শক্তির মাধ্যমে এই বর্বরোচিত হামলা চালায়। এই জঙ্গি মৌলবাদি মহলের তৎপরতা পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার উত্তরা, র্যাব, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানকে পত্র, ই-মেইল ও টেলিফোনের মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে।

তারা সঠিক পদক্ষেপ নিলে হয়ত এ ঘটনা ঘটতো না। তিনি এ বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন এবং ভিডিও ফুটেজ ও ছবি থেকে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক স্বাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এনএম/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।