বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরাও পদোন্নতি পাবেন
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের চাকরির বয়স ১০ বছর পূর্ণ হয়ে এ পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। ৯ম গ্রেডের এ পদের জন্য ১০ম গ্রেডে প্রযোজ্য ডিগ্রি (স্নাতকোত্তর) থাকতে হবে বলে সংশোধিত এমপিও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়।
সোমবার (২৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ নীতিমালা জারি করা হয়।
নীতিমালার ১১ অনুচ্ছেদের ৮ নং ধারায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহকারী শিক্ষকরা প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ হতে ১০ বছর সন্তোষজনক চাকরি সময়সীমা পূর্ণ হলে ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উচ্চতম বেতন গ্রেড প্রাপ্য হবেন। পদোন্নতি পেয়ে তিনি সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে উন্নীত হবেন। পরবর্তী ৬ বছর পর একইভাবে পরবর্তী উচ্চতর বেতন গ্রেড প্রাপ্ত হবেন। তবে উল্লেখিত স্কেল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একই স্কেলে যথাক্রমে ১০ বছর ও ৬ বছর চাকরির বয়স পূর্ণ হতে হবে। কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা থাকলে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হবেন না।
আরও বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষকের ১০ বছর পূর্ণ হলেও ১০ম গ্রেড স্নাতকোত্তর ডিগ্রি না থাকলে তিনি সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন না। জাতীয় বেতন স্কেলের ৯ম গ্রেড প্রাপ্তির পরবর্তী ৬ বছর পর একইভাবে উচ্চতর বেতন গ্রেড প্রাপ্য হবেন। তবে স্কেল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একই স্কেলে যথাক্রমে ১০ বছর ও ৬ বছর চাকরির বয়স পূর্ণ হতে হবে। চাকরিকালীন দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড/টাইম স্কেল প্রাপ্য হবেন না। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘাটতি থাকবে তারা উচ্চতর স্কেল/গ্রেড হিসেবে গণনাযোগ্য হবে না। কারও বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তিনি উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।
অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরাও শিক্ষকদের মতো চাকরি জীবনের ১০ বছর সন্তোষজনক হলে পরবর্তী উচ্চতর বেতন গ্রেড পাবেন। পরবর্তী ৬ বছর পর একইভাবে পরবর্তী উচ্চতর বেতন প্রাপ্য হবেন। তার চাকরি জীবনে দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড দেয়া হবে না।
এমএইচএম/জেডএইচ/এএসএম