কুমিল্লায় ২০ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ প্রবাসীর


প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৫

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাড্ডা হাহাতি গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ সৌদি প্রবাসী ময়নাল হোসেনের সন্ধান ২০ দিনেও মেলেনি। এ ঘটনায় থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী ও স্বজনরা।

তবে ওই প্রবাসীর মায়ের অভিযোগ, তার ছেলের অর্থ আত্মসাত করতেই স্ত্রী, ভায়রা ভাই ও মামা শ্বশুরসহ স্বজনরা ময়নালকে খুন করে মরদেহ গুম করে রেখেছে। এদিকে ওই প্রবাসীর কোনো সন্ধান না পেয়ে তার স্বজনরা চরম উদ্বেগ- উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার আকাবপুর নোহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের সৌদি প্রবাসী ছেলে ময়নাল হোসেনের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে একই উপজেলার জাড্ডা হাহাতি গ্রামের মেয়ে তাছলিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে।

সৌদি যাওয়ার পর থেকে ময়নাল হোসেন বিদেশে অর্জিত সকল অর্থ স্ত্রী তাছলিমার কাছে পাঠায়। কিন্তু বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থে তার স্ত্রী মামা শ্বশুর আব্দুল জলিল মাস্টার ও নুরু মিয়ার নামে পাঁচ বিঘা জমি ক্রয় করেন।

গত ৩০ অক্টোবর ময়নাল হোসেন দেশে আসার পর শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করেন। কিন্তু বিদেশে থেকে পাঠানো অর্থের হিসাব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।

এদিকে, গত ২ নভেম্বর ওই প্রবাসী শ্বশুর বাড়ি থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি বলে তার মা ও বোনকে জানায় প্রবাসীর স্ত্রী। এ বিষয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রী গত ৭ নভেম্বর মুরাদনগর থানায় স্বামী নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন।

তবে প্রবাসী ময়নাল হোসেনের মা আমেনা খাতুন ও বোন হোসনেয়ারা বেগম সোমবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ময়নাল ঢাকায় যায়নি, তার স্ত্রী তাছলিমা, মামা শ্বশুর জলিল মাস্টার, নুরু মিয়া, ভায়রা ভাই সাদ্দাম বিদেশে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ আত্মসাতের জন্য তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ গুম করে রেখেছে।

এ ব্যাপারে সোমবার রাতে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ফজলুল কাদের জানান, শ্বশুর বাড়ি থেকে ওই প্রবাসীর নিখোঁজের বিষয়ে তদন্ত চলছে, শিগগিরই এর রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

মো. কামাল উদ্দিন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।