ভূমির সুষ্ঠু ব্যবহারে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন প্রণয়ন করবে সরকার
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে সরকার। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নগর উন্নয়ন অধিদফতর এ আইনের বাস্তবায়নকারী সংস্থা। সারাদেশকে এ পরিকল্পনার আওতায় আনা হচ্ছে। নগর ও অঞ্চল পরিল্পনা আইন প্রণীত হলে দেশের ভূমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
নগর উন্নয়ন অধিদফতরের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নগর উন্নয়ন অধিদফতর সম্মলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন, ২০১৫’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
গণপূর্ত মন্ত্রী এ আইনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন আইন প্রণয়নের সাথে সাথে এর যথাযথ প্রয়োগের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় আইন অকার্যকর হয়ে পড়ে। দেশে জলাশয় সংরক্ষণ আইন রয়েছে। তা সত্ত্বেও ঢাকা শহরের আশেপাশের জলাশয় অবাধে ভরাট করা হচ্ছে। জনগেণর সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা না থাকলে আইন প্রয়োগ করা কঠিন।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা প্রণয়নের সাথে সাথে দেশের ভূমি ব্যবস্থা ও এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পরিকল্পনাবিদদের কাছে থাকতে হবে। অন্যথায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না।
সেমিনারে জানানো হয় যে, প্রধান প্রধান শহরমুখী জনস্রোত রোধ করতে মাঝারি ও তৃতীয় স্তরের নগর কেন্দ্রগুলোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে সারা দেশের জন্য একটি কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম রহমান, নগর গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহেমদ ভূঁইয়া, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দাকার আখতারুজ্জামান, রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউিটের পরিচালক আবু সাদেক, ড. সারোয়ার জাহান প্রমুখ।
এর আগে নগর উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক (গবেষণা ও সমন্বয়) ‘নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন, ২০১৫’ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এসএ/এসএইচএস/পিআর