অটোপাসেও প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর অসন্তোষ
করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাসের ঘোষণা দেয়া হয়। জেএসসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলাফলের ভিত্তিতে বিশেষ মূল্যায়ন করে ফল দেওয়া হয়েছে। এতে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি। তারপরও ফলে সন্তষ্ট নন প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। তারা ফল পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা বোর্ডে ‘রিভিউ’ আবেদন করেছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। পরের দিন ৩১ জানুয়ারি থেকে ফল রিভিউ করার সুযোগ দেয় বোর্ডগুলো। শনিবার (৬ ফেব্রয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল আবেদন করার সুযোগ।
শনিবার রাত দশটা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, ফল রিভিউ করেছেন মোট ১৪ হাজার ৬৯২জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি। বোর্ডওয়ারী হিসেবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে রিভিউ আবেদন সবচেয়ে বেশি।
তবে রিভিউ করা শিক্ষার্থীদের ফল কবে প্রকাশ করা হবে তা এখনো জানানো হয়নি।
এদিকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী। এ শিক্ষার্থীরা কেন জিপিএ পাননি তার ব্যাখ্যা লিখিতভাবে দেবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। যারা বোর্ডে আবেদন করেছে তাদের লিখিতভাবে জানানো হচ্ছে।
৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত এইচএসসির ফলে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাননি এমন ১৭ হাজার ৪৩ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। অন্যদিকে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ছিল কিন্তু এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি ৩৯৬জন।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২০ ফলাফল প্রণয়নে জেএসসি বা জেডিসি এবং এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার বিষয় ম্যাপিং পদ্ধতি সম্পর্কে ফলাফলের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে- সাধারণভাবে জেএসসি বা সমমান পরীক্ষার ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ৭৫ শতাংশ বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিবেচনায় নিয়ে এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছরের ১ এপ্রিল শুরু হওয়ার কথা ছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা ছিল এই পরীক্ষায়। তবে, করোনা মহামারির কারণে এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এমএইচএম/এমএইচআর/এমএস