প্রস্তুত ফাঁসির মঞ্চ
রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে নির্মিত হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। নভেম্বর মাসেই আংশিকভাবে এটি উদ্বোধন করা হবে। কেমন হবে নতুন এ কারাগারটি তা নিয়ে থাকছে জাগো নিউজের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ থাকছে এর চতুর্থ পর্ব।
কারাগারের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে ডান দিকের শেষ প্রান্তের ডেনজার প্রিজন-৩ নামের একটি ভবন। এর ভেতরে আলোচিত হত্যাকাণ্ড, জঙ্গিসহ দাগী আসামিদের রাখা হবে। পাশাপাশি যেসব আসামিদের ফাঁসি কার্যকরের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসবে তাদের গন্তব্য হবে এই ৩নং ভবন। ভবনটির সীমানা প্রাচীরের ভেতরে দক্ষিণ দিকেই নবনির্মিত কারাগারের একমাত্র ফাঁসির মঞ্চটি।
মঞ্চের তিনদিকে আর ছাদে ছাই রংয়ের টিনের শিট আর চালে ঢেউ টিন। পূর্ব দিকের অংশটি খোলা। তবে এদিক দিয়ে ভবনের বাইরে যাওয়ার জন্য একটি আলাদা গেট রয়েছে।
রানীগঞ্জের এই ফাঁসির মঞ্চটিও তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিকভাবে। মঞ্চবেষ্টিত ঘরটির আয়তন হবে প্রায় ২০০ স্কয়ার ফিট। মাটি থেকে চার ফিট উপরে মঞ্চটিতে ওঠার জন্য দু’দিক থেকেই পাকা সিঁড়ি দেয়া হয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই মেঝেতে চোখে পড়বে লোহার দুটি পাত আর একটি লিভার। লিভার টান দিতেই আসামির পায়ের নিচ থেকে সরে যাবে পাতগুলো। আসামিদের ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য মঞ্চের নিচে ১৫ ফিটের মতো গভীরতা রাখা হয়েছে।
মঞ্চের পূর্ব দিকে নিচের অংশে রয়েছে আকাশী রং করা স্টিলের একটি গেট। ফাঁসি কার্যকরের পর তালাবদ্ধ এই গেটটি দিয়েই তুলে আনা হবে মরদেহ।
চলতি বছরের জুন মাসে কারাগারের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ৪০৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত অত্যাধুনিক এই কারাগারটি এ মাসে আংশিকভাবে উদ্বোধন করা হতে পারে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে উদ্বোধনের পর থেকেই ফাঁসি কার্যকরের জন্য প্রস্তুত থাকবে এই মঞ্চটি।
এআর/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি