জনগোষ্ঠী ২০১৩-১৪ এর মোড়ক উন্মোচন


প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

মানবাধিকার প্রতিবেদন বাংলাদেশের দলিত জনগোষ্ঠী ২০১৩-১৪ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ ও ফেয়ারের যৌথ আয়োজনে এই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জন্মগতভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ স্বাধীন এবং পূর্ণ মানবাধিকার ও সমমর্যদার অধিকারী। বাংলাদেশের সংবিধানে সমতা, সমান সুযোগ এবং বৈষম্য বিরোধী বিধানবলী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।কিন্তু বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। বাংলাদেশের বসবাসরত এক বিশাল জনগোষ্ঠী সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বহুমুখী ঘৃণা,বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক রীনা রায় বলেন, দলিত গোষ্ঠী সকল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিশেষ করে শিক্ষা গ্রহণের জন্য তারা বেশি বাঁধার শিকার হন। দেশের মাত্র ৫ থেকে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা দলিত সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করার সুযোগ দেন।

তিনি বলেন, দলিত জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে হলে মূলধারার সবার মত তাদেরকেও সকল সুবিধা দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের মানসিকতার যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে তা পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি পারিবারিক বা বংশীয় যোগ্যতার বিচার বিবেচনা বাদ দিয়ে যোগ্যতার বিচারে সবাইকে সুযোগ দেয়ার চিন্তা করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করলে আমরা দলিত জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কোন কাজ করতে পারব না।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দলিত জনগোষ্ঠীর একজনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের অসৌজন্যমূলক আচরনের জন্য লজ্জা প্রকাশ করে অধাপক মেসবাহ কামাল বলেন, এ বিষয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের সঙ্গে মানবাধিকার কর্মীদের আলোচনায় বসা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি একজন ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষ লাঞ্চনার শিকার হন তাহলে সারা দেশে তো এর হার বেড়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, দলিত জনগোষ্ঠির মানুষের মধ্যে বেশি নির্যাতিত হন নারীরা। নারী নির্যাতন কমিয়ে আনতে হলে সবার সচেতনতা ও সমীহ আচরণ জরুরী।

দলিত জনগোষ্ঠীকে জমির মালিকানার অধিকার ও ভারতের মত বাংলাদেশেও ৫ই ডিসেম্বর বিশ্ব মর্যাদা/ডিগনিটি দিবস পালনের দাবিও জানান তিনি।

মানবাধিকার কর্মী চেয়ারম্যন হামিদা হোসেন বলেন, সরকার বার বার ঘোষণা দিচ্ছে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা হবে। কিন্তু যারা বৈষম্যের শিকার তারা তো তাদের নিজ অবস্থানে থেকে যাবে। তাই এ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য বিশেষভাবে কাজ করতে হবে।

এএস/জেডএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।