ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে এর বিচার দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে অভিভাবক ফোরাম। অধ্যক্ষ ও একজন শিক্ষক প্রতিনিধির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র টেম্পারিং (জালিয়াতি) করার ঘটনা প্রমাণিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে ওই চিঠিতে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী বরাবর পাঠানো অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৭ নভেম্বর ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া ও শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা যোহরা হক প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার একটি উত্তরপত্রে ঘষামাজা করে নম্বর বাড়িয়ে দেন। পরে গভর্নিং বডির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে এ ঘটনা তদন্ত করে তার সত্যতা পাওয়অ যায়, যদিও দুই মাস পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ অপরাধের জবাব চেয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে ওই দুই শিক্ষককে শো’কজ (কারণ দর্শানোর) নোটিশ দেয়া হয়।
অভিভাবক ফোরামের চিঠিতে বলা হয়, যোহরা হক একজন শিক্ষক প্রতিনিধি হলেও অধ্যক্ষ তাকে আইনভঙ্গ করে মূল ক্যাম্পাসের শাখা প্রধান করেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। সম্প্রতি আদালতের একটি নির্দেশনা এনে টাকার বিনিময়ে ইচ্ছেমতো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। আগের যোগ্যদের তালিকা বাতিল করে আর্থিক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ ফওজিয়া।
‘নানা ধরনের অন্যায়-অনিয়ম করেও গভর্নিং বডির সভাপতি তাকে নিয়ে নিয়মিত গভর্নিং বডির সভা করছেন। শুধু তাই নয়, শো’কজ পাওয়া দুই শিক্ষক ১৬ ডিসেম্বর স্কুলের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে সভাপতিও উপস্থিত ছিলেন।’
যেখানে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন, সেখানে প্রকাশ্যে অনিয়ম করে কেউ পার পেয়ে যাবে তা অভিভাবকরা মেনে নেবেন না। তাই এসব অনিয়ম তদন্ত করে দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয় অভিভাবক ফোরামের লিখিত অভিযোগে।
এমএইচএম/এইচএ/জেআইএম