জাল সনদ ধরতে তৎপর এনটিআরসিএ
ভুয়া সনদধারী শনাক্তে তৎপরতা চালাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। দেশের সব জেলা শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দিয়ে এনটিআরসিএর সনদধারীদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এনটিআরসিএর মাধ্যমে প্রথম থেকে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে ছয় লাখ ৩৪ হাজার ১২৭ জনকে সনদ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ ৮২১ জনের বয়স ৩৫ বছর পার হওয়ায় তারা নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন না। ৩৫ বছরের মধ্যে নিবন্ধিত প্রার্থী রয়েছেন আরও দুই লাখ ৮৮ হাজার। তবে তাদের অনেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি নিয়োগ পেয়েছেন। মামলা জটিলতায় অনেকের বয়স পার হলেও চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। তবে প্রার্থীদের মধ্যে বড় একটি সংখ্যা নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন।
এনটিআরসিএর তথ্য মতে, এদের বাইরেও কেউ কেউ ভুয়া সনদ বানিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি তারা এমপিও (মান্থলি পেমেন্টে অর্ডার) সুবিধা নিচ্ছেন। এদেরকে শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে এনটিআরসিএ।
সারাদেশে এনটিআরসিএর সনদধারী কর্মরত শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। ভুয়া সনদ চিহ্নিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত কর্মরত সব প্রার্থীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ ভুয়া সনদধারী রয়েছে কি-না তা চিহ্নিত করে এমপিও বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি সনদধারীদের মধ্যে কতজন কর্মরত ও বেকার রয়েছে সে তথ্য চিহ্নিত করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এমএইচএম/এমএসএইচ